অনলাইন ডেস্ক – লিঙ্কডইন পেশাদারদের প্ল্যাটফর্ম। এটি অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মতো নয়। লিঙ্কডইনকে কর্মক্ষেত্র বিস্তারের একটি মাধ্যম হিসাবে দেখা হয়। লিঙ্কডইন ব্যবহারকারী নারী ৯০ শতাংশ রোমান্টিক বা অপ্রত্যাশিত মেসেজ পান বলে জরিপে দেখা গেছে। এ ধরনের হয়রানিমূলক বার্তা এই প্ল্যাটফর্মে আপত্তিকর বলে বিবেচিত হয়।
২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে গ্লোবাল ফটো স্টুডিও অ্যাপ দ্বারা পরিচালিত ১০০০ জনেরও বেশি মানুষের ওপর এক জরিপে দেখা যায়, প্রায় ৯০ শতাংশ লিঙ্কডইন ব্যবহারকারী নারী রোমান্টিক বা অপ্রত্যাশিত মেসেজ পান। এসব মেসেজের মধ্যে ৩০ শতাংশেরও বেশি ব্যক্তিগত বা অন্তরঙ্গ তথ্য চাওয়া হয়েছে। জরিপে আরও দেখা গেছে, ৭৪ শতাংশেরও বেশি নারী এই ধরনের বার্তাগুলোর কারণে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তাদের কার্যকলাপ কমিয়ে দিয়েছে।
অপ্রত্যাশিত মেসেজ পাওয়া এক তরুণী হলেন দুবাইয়ের বাসিন্দা জেনিশ শাহ (২৫)। ছয় শব্দের একটি মেসেজ তাকে আতঙ্কিত করেছিল। তাতে লেখা ছিল— ‘আমি তোমার ক্ষতি করতে চাই।’
খালিজ টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেনিশ জানান, বছরের পর বছর তিনি এমন অপেশাদার মেসেজ পান। তিনি বলেন, প্রথমে তারা পেশাগত সহায়তা চান। এরপর সাধারণ কথাবার্তা বলতে থাকেন। কিন্তু ১০ থেকে ১৫ বার মেসেজ দেওয়ার পর তারা ফোন নম্বর বা ইনস্টাগ্রাম আইডি চেয়ে বসেন। এ জন্য এখন নতুন কোনো মেসেজ এলে আমার সন্দেহ হয়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিনা তা ভেবে অনেক সময় কাউকে সহায়তাও করি না।
বিশেষ কারণ উল্লেখ করে জেনিশ বলেন, কথাবার্তায় অসংলগ্ন হওয়ায় ডেটিংঅ্যাপ টিন্ডার থেকে কয়েকজনকে ব্লক করি। এরপর তিনি লিঙ্কডইনে খুঁজে পেয়ে তিনি সেখানে মেসেজ করেন।
ব্যাংক শিল্পে কাজ করা ৩৮ বছর বয়সি দুবাইয়ের বাসিন্দা বাওয়ান অরোরা বলেন, একবার তিনি চাকরি খোলার ফলোআপ হিসেবে একটি বিরক্তিকর বার্তা পেয়েছিলেন। এর মধ্যে কিছু মেসেজের কথা অরুচিকর ছিল। তিনি বলেন, মেসেগুলো ছিল খুবই কুরুচিকর এবং অপেশাদারি। আমি বিবাহিত কিনা জানতে চেয়ে আমার ডাক নামও জানতে চায়। এরপর আমি মেসেজের উত্তর দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।