অনলাইন ডেস্ক –পার্থেনিয়াম একটি আগাছার নাম। যে কোনো প্রতিকূল পরিবেশেই বাঁচতে পারে এই আগাছা। পরিত্যাক্ত জমি বা রাস্তার পাশে জন্ম নেওয়া গাছটি প্রকৃতির সঙ্গে খুব সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পারে। বর্তমানে দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় এই গাছটি সবার নজরে আসছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানানো হয়েছে, পার্থেনিয়াম আগাছাটি খুবই বিষাক্ত। যা মানবদেহের পাশাপাশি গবাদিপশুর জন্য ক্ষতিকর। এই আগাছাটি আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করতে হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, পার্থেনিয়াম আগাছায় এক ধরনের পি-অ্যানিসিক এসিড জাতীয় বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান থাকে। যা মানুষের শরীরে লাগলে গায়ে চুলকানি জাতীয় রোগ হয়।
হিলি রেলস্টেশন ও আশাপাশের এলাকায় ধনিয়া গাছের মতো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে পার্থেনিয়াম নামের আগাছা। চিকন সবুজ পাতার ফাঁকে ছোট ছোট সাদা ফুলে আকর্ষণীয় দেখায় গাছগুলো। এই আগাছার মধ্যে গবাদি পশুর বিচরণ ছিল লক্ষণীয়।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, পার্থেনিয়াম আগাছা এ উপমহাদেশের উদ্ভিদ নয়। এটি মেক্সিকোর। তবে, তা ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশেও এই আগাছা বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপকহারে জন্ম নিয়েছে। এসব আগাছার আয়ুষ্কাল ৩ থেকে ৪ মাস।
স্থানীয় যুবক আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘পার্থেনিয়াম আগাছাগুলো মানুষ এবং গবাদিপশুর জন্য ক্ষতিকর বলে শুনেছি। আমাদের হিলি রেলস্টেশনসহ আশপাশে অনেক এলাকায় এই আগাছা রয়েছে। এগুলো গায়ে লাগলে নাকি চুলকানি হয়। এই আগাছা গবাদিপশুর পছন্দের খাবার। এই আগাছা খেলে গবাদি পশু মারা যেতে পারে বলেও শুনেছি।’
হাকিমপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম বলেন, ‘পার্থেনিয়াম আগাছা গবাদিপশুর খাবার হিসেবে খুবই ক্ষতিকর। এই বিষাক্ত আগাছা খেলে গবাদিপশুর ইন্টারনাল ব্লিডিং হয়। ফলে গবাদিপশুর মল শক্ত হয়ে যায়। তখন হার্টে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে একসময় পশুর মৃত্যু হয়ে থাকে।’
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইলতুতমিশ আকন্দ পিন্টু বলেন, ‘পার্থেনিয়াম আগাছায় এক ধরনের পি-অ্যানিসিক এসিড জাতীয় বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান থাকে। যে কারণে এই আগাছাগুলো মানুষের শরীরে লাগলে গায়ে চুলকানি জাতীয় রোগ হয়। আমাদের হাসপাতালে এখনো এ সংক্রান্ত কোনো রোগী আসেননি।রোগী আসলে তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।’