1. [email protected] : Masumasian :
  2. [email protected] : Masum Talukdar : Masum Talukdar
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫৩ অপরাহ্ন

কক্ষ নম্বর ৪০২ : বাবার লাশ রেখে ছেলে যাচ্ছে সৌদি আরব…

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট এর সময় : সোমবার, ৩ মার্চ, ২০২৫
  • ২৪ বার পঠিত হয়েছে

নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর শাহজাদপুরে সৌদিয়া হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন। তবে তাদের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাতে পারেনি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং মরদেহের সুরতহাল শেষে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক ধারণা, ভিকটিম চারজন আগুনে সৃষ্ট ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। প্রাথমিকভাবে নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যে ব্যক্তির পরিচয় জানা গেছে তার নাম মিরন জম্মাদার (৬০)। তার বাড়ি পিরোজপুর জেলায়। তিনি আজ (সোমবার) সকাল আটটায় হোটেলটিতে ওঠেন।

নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মিরনের ছেলে মুবিন জমাদ্দারের কাল সন্ধ্যার একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা রয়েছে। মুবিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি একটি এলাকায় হোটেলে উঠেছেন। আর বাবা মিরন বিমানবন্দরে যেতে যেন সুবিধা হয় তাই নতুন বাজারের পরে শাহজাদপুরের এই হোটেলটিতে ওঠেন। নিহত মিরন আজ তার বোনের স্বামী হিরন তালুকদারের সঙ্গে পিরোজপুর থেকে ঢাকায় আসেন। ঢাকায় এসে তিনি আজ সকাল ৮টায় হোটেলটিতে ওঠেন। হোটেলে ওঠার পর তিনি আবার বাইরে বের হন, নাস্তা করেন একটি দোকানে। নাস্তা শেষে হোটেলে যান বিশ্রাম নিতে। এরই মধ্যে লাগে এই ভয়াবহ আগুন। আগুন লাগার পর কোথাও বের হতে না পেরে জীবন বাঁচানোর জন্য ফোন দেন বোনের স্বামী হিরনকে।

হিরনকে ফোন দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে মিরন বলেন, আমি বাঁচার কোনও পথ পাচ্ছি না চারদিকে ধোঁয়া দম বন্ধ হয়ে আসছে। এই কথা বলার পরে ফোন কেটে যায় মিরনের। পরে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণের পর মিরনের মরদেহ চারতলা থেকে উদ্ধার করে। নিহতের বোনের স্বামী হিরন তালুকদার বলেন, আমরা আজ সকালে এসে হোটেলটিতে উঠি‌। সকালে আসার পর মিরন হোটেলের পাশে একটি রেস্টুরেন্ট থেকে নাস্তা করে ফের হোটেলে যান এবং আমাকে বলেন আপনি নাস্তা করে আসেন, আমি একটু বিশ্রাম নেই। এর কিছুক্ষণ পরে আগুন দেখে হোটেলের নিচে দৌড়ে আসি। এসে দেখি পুরো হোটেল আগুনে ধোঁয়াচ্ছন্ন। তখনই মিরন আমাকে ফোন দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলে, চারদিকে ধোঁয়া উনি কোথাও যাওয়ার জায়গা পাচ্ছেন না। তিনি হোটেলের চারতলার রুমে ছিলেন। রুম নম্বর ৪০২। এদিকে বাবার লাশ বাড়ি পাঠিয়ে ছেলে কাল সৌদি আরব যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

দয়া করে পোস্টটি আপনার স্যোসাল মিডিয়া শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2019 LatestNews
Theme Customized BY LatestNews