অনলাইন ডেস্ক – চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে তুলনা নেই নানা ঘরোয়া উপাদানের। অনেকেই এখন নানা ঘরোয়া উপায়েই চুলের হাল ফেরাতে চান। আর সে তালিকায় রয়েছে আমলকী, অ্যালোভেরার মতো প্রাকৃতিক উপাদান। চুলের যত্নে কেউ আমলকী ব্যবহার করেন। আবার কেউ অ্যালোভেরা দিয়েই কাজ চালিয়ে নেন।
পুষ্টিগুণে ভরপুর এ দুই উপাদানই। কিন্তু আপনার চুলের জন্য কোনটি সেরা, তা জানাও জরুরি। তবে এসব ভেষজের গুণে আপনি পাবেন ঝলমল ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চেহারা। তাই দেরি না করে ঝটপট জেনে নিন চুলের যত্নে উপযুক্ত উপাদান।
ঘাম আর ধুলাবালিতে চুল হয়েছে রুক্ষ? তাহলে বন্ধুত্ব পাতান অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গেই। এতে জলের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাই চুলের জন্য প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজারের কাজ করে এই ভেষজ। চুল রুক্ষ হলে আপনি সরাসরি অ্যালোভেরা জেলই চুল ও স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিতে পারেন। আবার চুলের আর্দ্রতা ফেরাতে নারিকেল তেল বা মধুর সঙ্গেই এই জেল মিশিয়ে মাখতে পারেন। তাতেই নিমেষে চুল হবে রেশমের মতো কোমল।
নানা ভিটামিন ও খনিজে ঠাসা অ্যালোভেরা। এতে ভরে ভরে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই এবং বি১২। এর পাশাপাশি মিলবে ফলিক অ্যাসিড, বিটা-ক্যারোটিনও। এ ছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের হদিস মেলে অ্যালোভেরাতে। তাই এ ভেষজের ছোঁয়ায় পুষ্টি পায় হেয়ার ফলিকল। স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য থাকে ভালো। এ কারণে বন্ধ হয় চুল পড়ার সমস্যা।
এ ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই আমলকী। চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের কাজ করে এই প্রাকৃতিক উপাদান। মখমলের মতো চুল পেতে হলে আমলকীর তেল দিয়েই মালিশ সারতে পারেন। এতে চুলের শাইন তো বাড়বেই, সঙ্গে ঝাঁটার মতো চুল হবে। আর আমলকীতে ভিটামিন সি রয়েছে ভরপুর। এ ছাড়া এতে হদিস মেলে পলিফেনল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের। এই ছোট্ট ফলে উপস্থিত ভিটামিন সি কোলাজেনের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে শক্ত হয় চুলের গোড়া। আর আমলকীতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি ব়্যাডিকেলের ক্ষতি আটকে দেয়। বন্ধ হয় চুল পড়ার সমস্যা।