নিউজ ডেস্ক : লিগ পদ্ধতিতে হওয়া কোনো টুর্নামেন্টে সাধারণত ফাইনাল হয় না। তবুও বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যকার ম্যাচটি এক অর্থে আগামীকাল ‘ফাইনাল’।
টুর্নামেন্টে প্রতিটি দল খেলেছে পাঁচটি করে ম্যাচ।
শ্রীলঙ্কা ও ভুটান আগেই শিরোপার দৌড় থেকে ছিটকে পড়েছে। পয়েন্টের ভিত্তিতে শিরোপার দাবিদার কেবল নেপাল ও স্বাগতিক বাংলাদেশ। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা থেকে দুই দলের ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস।
শেষ ম্যাচের আগে বাংলাদেশের পয়েন্ট ১৫, সেখানে নেপালের পয়েন্ট ১২। তাই ‘ফাইনাল’ ম্যাচে কিছুটা এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। অতিথিদের বিপক্ষে ড্র করলেই চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। হারলেও থাকবে সুযোগ। সেক্ষেত্রে এক গোলের বেশি ব্যবধানে হারা যাবে না। ১-০ গোলে হারলে ম্যাচের মীমাংসা হবে টাইব্রেকারে। আর শিরোপা জিততে হলে নেপালকে অন্তত ২-০ গোলে জিততে হবে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সেটি মোটেও সহজ হবে না নেপালিদের জন্য। কারণ এই ম্যাচকে সামনে রেখে শক্তি জমিয়ে রেখেছেন কোচ পিটার বাটলার। নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ও দ্বিতীয় খেলায় নেপালের বিপক্ষেই কেবল মূল শক্তি খরচ করেছে বাংলাদেশ। ওই দুই ম্যাচে আফিদা খন্দকার, স্বপ্না রানী, মোসাম্মৎ সাগরিকাদের মতো পরীক্ষিতদের মাঠে নামিয়েছিলেন বাংলাদেশ কোচ। পরের চার ম্যাচে বেঞ্চের শক্তি যাচাই করেছেন তিনি। এর মধ্যে দলের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড সাগরিকা তো রেড কার্ড ইস্যুতে তিন ম্যাচ খেলতে পারেননি। তবে আজকের ম্যাচের জন্য তিনি প্রস্তুত।
বাংলাদেশকে মোকাবিলায় নেপালও প্রস্তুত। আগের দেখায় ৩-২ ব্যবধানে হারলেও লড়াই করেছে নেপাল। প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের ৭৬ মিনিট পর্যন্ত দুই গোলে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। তবে এরপরেই ঘুরে দাঁড়ায় নেপাল। ১০ মিনিটের মধ্যে বাংলাদেশকে দুই গোল শোধ করে ম্যাচে ফিরে তারা। তবে সেই লড়াই শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেনি অতিথি শিবির। বাংলাদেশের উমেহলা মার্মার দুর্দান্ত পাসে গোল করেন তৃষ্ণা রানী সরকার। নেপালিদের কাঁদিয়ে জয় উৎসব করে লাল-সবুজের মেয়েরা।
শেষ হাসিটা এই ম্যাচেও হাসতে চায় বাংলাদেশ। নারী দলের ম্যানেজার মাহমুদা আক্তার অনন্যা বলেছেন, ‘দলের সবাই সুস্থ আছে, এই ম্যাচের জন্য সবাই প্রস্তুত। সন্ধ্যায় রিকভারি সেশন ছিল, কোচের সঙ্গে বসে কালকের ম্যাচের পরিকল্পনা করব। ’
টুর্নামেন্টের শুরুতে বাংলাদেশ ৯-১ গোলে হারায় শ্রীলঙ্কাকে। দ্বিতীয় ম্যাচে উড়িয়ে দেয় নেপালকে ৩-২ গোলে। পরপর দুই ম্যাচে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সারির দলের সামনে পাত্তা পায়নি ভুটান। পঞ্চম ম্যাচে আবার শ্রীলঙ্কাকে হারায় ৫-০ গোলে।
তবে ব্যক্তিগত পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের কেউ এগিয়ে নেই। সর্বোচ্চ গোলস্কোরার নেপালের পূর্ণিমা রায়; পাঁচ ম্যাচে করেছেন ১০ গোল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলস্কোরারও নেপালের, দলটির ফরোয়ার্ড মিনা ডুবে করেছেন ৭ গোল। এই তালিকায় তিনে রয়েছেন বাংলাদেশের তিন ফুটবলার; মোসাম্মৎ সাগরিকা, তৃষ্ণা রানী সরকার ও স্বপ্না রানী, তিনজনেরই গোল সংখ্যা ৪টি করে।
গোল্ডেন বুট ও গোল্ডেন বল জয়ের দৌড়ে তাই এগিয়ে নেপালের ফুটবলাররা। বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড় অবশ্য টানা ম্যাচ খেলতে পারেননি। বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করতে প্রতিটি ম্যাচেই খেলোয়াড় বদল করেছেন কোচ বাটলার। তবে পরের ম্যাচে পূর্ণশক্তি নিয়ে মাঠে নামবে লাল-সবুজের দল।