1. [email protected] : Masumasian :
  2. [email protected] : Masum Talukdar : Masum Talukdar
সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ০২:০১ অপরাহ্ন

মৃত্যুর আগে ১৪ জনকে ফোন করেছিলেন হুমায়রা, মেলেনি সাড়া

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট এর সময় : শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫
  • ১৫ বার পঠিত হয়েছে
পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমায়রা আসগর আলি।

বিনোদন ডেস্ক : প্রায় নয় মাস আগে মারা যাওয়া পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমায়রা আসগর আলির দেহে কোনো ধরনের বিষাক্ত উপাদান পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। ৪২ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর পচাগলা মরদেহ পাকিস্তানের করাচির ইত্তেহাদ কমার্শিয়াল এলাকার ভাড়া বাসা থেকে গত ৮ জুলাই উদ্ধার করা হয়। তবে মৃত্যুর আগে অভিনেত্রী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বলেই অনুমান করছে পুলিশ।

পুলিশের বরাতে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর অন্তত ১৪ জনকে ফোন করার চেষ্টা করেছিলেন হুমায়রা, যাদের একজন জনপ্রিয় পরিচালকও- বর্তমানে যিনি ইসলামাবাদে অবস্থান করছেন।

কিন্তু কেউই তার ফোন রিসিভ করেননি। হুমায়রার ফোন, ডায়েরি ও একটি ক্ষতিগ্রস্ত ট্যাবলেট বর্তমানে প্রমাণ হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। তার মোবাইলে মোট ২ হাজারের বেশি কন্টাক্ট ছিল, কিন্তু শেষ সময়ে কেউ তার পাশে ছিল না। একাধিক ব্যক্তির কাছে চাকরিও চেয়েছেন হুমায়রা।

তবে অভিনেত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য জানান দিচ্ছে অন্যকিছু। জানা গেছে, হুমায়রার অ্যাকাউন্টে ৪ লাখ রুপি ছিল এবং তার সাম্প্রতিক লেনদেনের ভিত্তিতে বলা হয়েছে, হুমায়রা কোনো ধরনের আর্থিক সংকটে ছিলেন না।

এর আগে অভিনেত্রী হুমায়রার মরদেহ উদ্ধারের পর খবর ছড়ায়, মৃত্যুর কয়েকদিন আগে তিনি আর্থিক সংকটে ভুগছিলেন, এমনকি বাসা ভাড়া দিতেও হিমশিম খাচ্ছিলেন। তবে বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে জানান তার পরিবার।

তবে এক তদন্ত কর্মকর্তা জানান, হুমায়রা আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকলেও হয়তো মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন।

হুমায়রার মরদেহ ঘরের যে কক্ষে পাওয়া যায়, সেটি একটি পেইন্টিং স্টুডিও ছিল এবং পাশের বাথরুমে যাতায়াতের পথ হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। সেখানে কাপড় ধোয়ার কাজে ব্যবহৃত একটি টবও পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, হুমায়রা কাপড় ধোয়ার সময় হয়তো পিছলে পড়ে গিয়েছিলেন। তবে আশপাশে কোনো রক্তের দাগ ছিল না, শরীরে কোনো হাড় ভাঙার চিহ্নও পাওয়া যায়নি এবং শারীরিক নির্যাতনের কোনো আলামতও মেলেনি।

তবে এসব তথ্যে খুনের প্রমাণ না মিললেও পুলিশ এখনই কোনো সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না। অন্যদিকে পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা মোবাইল ফোন, ট্যাবলেটসহ ডিজিটাল ডিভাইসগুলো ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে বড় প্রশ্ন থেকে যায়- তার মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ বের হলেও এতদিন তা কেউ জানালো না কেন! নিচতলার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত নভেম্বরেই তারা গন্ধ টের পেয়েছিলেন। কিন্তু ভবনের দারোয়ান বিষয়টি আমলে নেননি।

এদিকে হুমায়রার ভাই নাভিদ আসগর এই মৃত্যুকে দুর্ঘটনা মানতে নারাজ। তিনি বলেছেন, ‘আমার বোন দুর্ঘটনায় মারা যায়নি, বরং তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ আমাকে জানিয়েছে, দরজা ভাঙার পর দেখা যায় পেছনের দরজা ও ছাদের জানালাও খোলা ছিল। সম্ভবত এ কারণেই দুর্গন্ধ তীব্রভাবে ছড়ায়নি। আমরা ৯০ শতাংশ নিশ্চিত, এটি হত্যাকাণ্ড।’

দয়া করে পোস্টটি আপনার স্যোসাল মিডিয়া শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2019 LatestNews
Theme Customized BY LatestNews