অনলাইন ডেস্ক – দেশের ব্যাংকগুলোতে ডলার সরবরাহ বেড়েছে। বিপরীত দিকে চাহিদা কমেছে ডলারের। ফলে ডলার দাম হঠাৎ কিছুটা কমে গেছে। আর এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১৮ ব্যাংক থেকে নিলামে ১৯১ মিলিয়ন ডলার কিনেছে।
আজ সোমবার (১৪ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাজারে ডলারের চাহিদা কমে যাওয়ায় দর কমতে শুরু করে। এজন্য রপ্তানিকারক ও প্রবাসীদের আয়ের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ ব্যাংক নিলামে ডলার ক্রয় করেছে। যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত কাজের অংশ। ডলারের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমরা মাঝে মধ্যে ডলার ক্রয় ও বিক্রয় করে থাকি। তবে দীর্ঘদিন ডলার ক্রয়ের প্রয়োজন হয়নি। ডলারের চাহিদা কমে যাওয়ায় নিলামে ডলার ক্রয় করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো গত রবিবার ডলার ১২০ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ২০ পয়সায় কেনাবেচা করেছে। অথচ মাসের শুরুতে, ২ জুলাই, এই দর ছিল ১২২ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ৮৫ পয়সা পর্যন্ত। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে ডলারের দর কমতে থাকে। গতকাল ডলার দাম ছিল ১২০ টাকায় নেমে আসে। এমন পরিস্থিতে নিলামে ডলার ক্রয় করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নিলামে ডলার বিক্রি করার জন্য অধিকাংশ ব্যাংক ১২০ টাকার আশপাশে দর প্রস্তাব করে। সর্বশেষ বাংলাদেশ ব্যাংক কাট অফ প্রাইস ১২১ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে। এই কাট অফ প্রাইসে ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, দেশে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ বাড়ায় ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা এসেছে। তাছাড়া জুন মাসে আইএমএফ, এডিবি, জাইকা এবং এআইআইবি থেকে অর্থ সহায়তা পাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বেড়েছে। ডলার বেড়েছে। এসব কারণে দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের চলতি হিসাবে ঘাটতি কমেছে এবং ডলারের ওপর চাপ হালকা হওয়ায় দাম কমছে। ফলে দেশের ব্যাংকগুলোতে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে, চাহিদা কমেছে। এ কারণে ডলারের দাম কিছুটা কমে গেছে। আর ডলারের দাম আরো কমে গেলে রপ্তানিকারকরা একদিকে সমস্যায় পড়বে অপরদিকে রেমিট্যান্স আয় বৈধ পথে আসা কমে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। যা খুবই যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। তাতে ডলারের বাজার স্থিতিশীল থাকতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর সঙ্গে আলোচনার পর ডলারের বিনিময় মূল্য নির্ধারণে নতুন পদ্ধতি চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন থেকে ব্যাংক ও গ্রাহক নিজেরাই ডলারের দর নির্ধারণ করছে।