স্পোর্টস ডেস্ক : আইপিএল জন্মের দুই বছরের মধ্যেই ক্রিকেট বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দেখা পেয়ে গিয়েছিল। তা ছয় বছর টিকেও ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে সবশেষ আসর হওয়ার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে আর ক্রিকেটে ক্লাব পর্যায়ের কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের দেখা মেলেনি।
তবে সে আক্ষেপ ঘুচে যেতে পারে এবার। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে আবারও ‘বিশ্ব ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ’ আয়োজনের ভাবনা শুরু করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। ইসিবি প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গোল্ড জানিয়েছেন, ‘নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতে এমন একটি বিশ্ব ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ হবে—পুরুষ ও নারী, উভয়ের জন্যই। এটা ক্রিকেটের জন্য স্বাভাবিক ও পরবর্তী পদক্ষেপ।’
এই টুর্নামেন্ট এখনো পরিকল্পনার প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। তবে ইসিবির আগ্রহ দেখে ধারণা করা যাচ্ছে, তারা সত্যিই এটি বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিতে চায়। গোল্ড আরও বলেন, ‘এটা এখনো পরিকল্পনার মধ্যে আছে। তবে এটি হতে পারে পরবর্তী বড় ঘটনা।’
২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ছয় বছর চালু ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি–টোয়েন্টি। ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বোর্ড একসঙ্গে এটি চালু করেছিল। তবে খুব বেশি দর্শক না পাওয়ায় এবং আর্থিকভাবে সফল না হওয়ায় এটি বন্ধ হয়ে যায়।
রিচার্ড গোল্ড তখন সমারসেট ক্লাবের প্রধান নির্বাহী ছিলেন। তার ক্লাবই ২০০৯ সালের প্রথম আসরে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন ডেকান চার্জার্সকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছিল। সেই স্মৃতি মনে করে গোল্ড বলেন, ‘সেই টুর্নামেন্ট সময়ের আগেই এসেছিল। বাণিজ্যিকভাবে টিকতে পারেনি, তবে খুব ভালো একটা আয়োজন ছিল।’
বর্তমানে বিশ্বের নানা দেশে ছোট ফরম্যাটের অনেক লিগ হয়েছে—দ্য হান্ড্রেড (ইংল্যান্ড), এসএ২০ (দক্ষিণ আফ্রিকা), আইএলটি২০ (সংযুক্ত আরব আমিরাত), এমএলসি (যুক্তরাষ্ট্র)। অন্য খেলাতেও ক্লাব পর্যায়ে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ফুটবলের ৩২ দলের নতুন ক্লাব বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে এ মাসেই। রাগবি ইউনিয়নের ক্লাব বিশ্বকাপও চালু হবে ২০২৮ সালে।
তবে এমন একটি টুর্নামেন্ট চালু করতে গেলে সময়ের বড় চ্যালেঞ্জ হলো—বিশ্বজুড়ে ক্রিকেট সূচিতে একটি উপযুক্ত সময় বের করা। আরও একটি বড় বিষয় হলো—ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজিদের অংশগ্রহণ। বর্তমানে আইপিএলের ১০টির মধ্যে ৮টি দল এবং নারী আইপিএলের ৫টির মধ্যে ৪টি দল ভারতের বাইরে লিগ চালায়। তাই তাদের সম্মতি ছাড়া এই উদ্যোগ সফল হবে না।