আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপদেষ্টা ভ্লাদিমির মেদিনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ১,২০০ জন করে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।আর এটি ৭ থেকে ৯ জুন-এর মধ্যে শুরু হতে পারে।
মেদিনস্কি বলেন, ‘আমাদের ধারণা, উভয় পক্ষ থেকেই প্রায় ১,২০০ জন বন্দি বিনিময় হবে। আর এটিই হতে যাচ্ছে দুই দেশের মধ্যে এ পর্যন্ত হওয়া সবচেয়ে বড় যুদ্ধবন্দি বিনিময়।’
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক শান্তি আলোচনা সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
মেদিনস্কি আরও জানান, রাশিয়া তার পক্ষ থেকে একটি দ্বি-পর্যায়ের খসড়া শান্তি স্মারকলিপি হস্তান্তর করেছে। যার মধ্যে রয়েছে- দীর্ঘমেয়াদী শান্তির শর্তাবলি ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির শর্তাবলি।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে আলোচনা শুরু করতে হবে।এরপরেই রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে সম্মেলনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যাবে।
এ বিষয়ে মেদিনস্কি বলেন, রাষ্ট্রপ্রধানদের আলোচনার আগে সব বিষয়ে কাজ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্যই তাদের ডাকা উচিত।
রাশিয়া ঘোষণা করেছে, তারা শিগগিরই ইউক্রেনকে ৬,০০০ ইউক্রেনীয় সৈন্যের মরদেহ হস্তান্তর করবে এবং ইউক্রেন থেকেও তাদের নিহত সৈন্যদের দেহ গ্রহণ করবে।
এছাড়াও মেদিনস্কি জানান, মানবিক ইস্যুগুলো আলোচনায় গৌণ হিসেবে থাকলেও, একটি কার্যকর শান্তিচ্যানেল চালু হয়েছে।রাশিয়া যুদ্ধবিরতি নয়, বরং একটি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করতে চায়।
এছাড়া ‘অন্য বিষয়ে বল এখন তাদের কোর্টে’ বলেও মন্তব্য করেন মেদিনস্কি।
এর আগে, প্রথম রাউন্ডে দুই পক্ষ ২০৫ জন করে বন্দি বিনিময় করেছিল। এবার তারা আরও বড় পরিসরে, বিশেষত সবচেয়ে অল্পবয়সি ও গুরুতর আহত বন্দিদের বিনিময়ে রাজি হয়েছে। সূত্র: আনাদোলু