নিউজ ডেস্ক : পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বড়াল নদীকে বাঁচাতে চাই। তাই বড়ালসহ সব নদীকে চলমান রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।
তিনি বলেন, বিগত ৫৩ বছরে দখল আর দূষণে দেশের নদীগুলোর প্রাণ নষ্ট করা হয়েছে। পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ না করেই নদীর উপরে অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। এর সমাধান এক দেড় বছরের সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে কিছু প্রাধিকার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কার্যক্রম আমরা পরিচালনা করতে চাই, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার রূপরেখা প্রণয়ন করে দিয়ে যেতে চাই। যার অংশ হিসেবে প্রতিটা জেলায় আমরা একটি করে নদী দখলমুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছি। সেগুলোর সব কাজ করে যাওয়ার সময় হয়তো আমরা পাব না। ফলে প্রতিটি বিভাগে একটি করে নদী এবং এর বাহিরে কক্সবাজারে একটি ও ঢাকায় আলাদা ৪টি নদী চলমান করার পরিকল্পনা করে বাজেট এনে কাজ শুরু করার চেষ্টা করছি।
সোমবার দুপুরে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আটঘড়িয়া এলাকায় রেগুলেটর এবং তৎসংলগ্ন বড়াল নদী পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের ভূখণ্ডে প্রবাহিত নদীগুলোকে উজানে বাঁধ দিয়ে প্রবাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। উজানের অনেক কিছুর ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই; কিন্তু আমাদের ভূখণ্ডে আমরা যেন আর নদীর কোনো ক্ষতি না করি, তা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। নদীগুলোর বাস্তবতা হচ্ছে- নদীতে পানি না থাকা, নাব্যতা না থাকা। নদীর উপরে নির্মিত অনেক অবকাঠামো প্রবাহ না থাকা নদীগুলোকে আরও মেরে ফেলেছে। আমরা অবকাঠামো অপসারণ এবং খনন কাজ করতে চাই। নদীর সীমানা নির্ধারণ এসএ খতিয়ান অনুসারেই হবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড সবার সঙ্গে কথা বলে অতি দ্রুত কাজ শুরু করবে। বড়ালের প্রাণ ফেরাতে একটা পরিকল্পনা প্রণয়ন করাই আছে। চারঘাটের স্লুইসগেট তুলে দিয়ে খনন কাজ বাস্তবায়ন আমাদের প্রথম পরিকল্পনা। দ্বিতীয় দফায় আমরা আরও একটা পরিকল্পনার রূপরেখা অনুমোদন করে দিয়ে যেতে চাই।
উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোবাশশেরুল ইসলাম, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মখলেসুর রহমান, নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন, বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ।