1. [email protected] : Masumasian :
  2. [email protected] : Masum Talukdar : Masum Talukdar
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৪ অপরাহ্ন

অবরুদ্ধ গাজাজুড়ে এখন খাবারের জন্য হাহাকার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট এর সময় : শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪ বার পঠিত হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক – জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) শুক্রবার জানিয়েছে, গাজায় সমস্ত খাদ্য মজুদ শেষ হয়ে গেছে। কারণ ইসরাইল গত ২ মার্চ থেকে সীমান্ত পারাপার সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে অবরুদ্ধ গাজাজুড়ে এখন খাবারের জন্য হাহাকার!

 

এদিন এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, ‘আজ ডব্লিউএফপির নিয়ন্ত্রণে থাকা গাজা উপত্যকার রান্নাঘরগুলোতে তাদের হাতে মজুদ থাকা সর্বশেষ খাবার সরবরাহ করেছে’।

আনাদোলু জানিয়েছে, এই রান্নাঘরগুলো গাজার অর্ধেক জনগণের দৈনন্দিন খাদ্য চাহিদার মাত্র ২৫ ভাগ জোগান দিয়ে আসছিল। তবে কয়েকদিনের মধ্যে সেগুলোও বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

ডব্লিউএফপি জানায়, তারা যে ২৫টি বেকারিকে সহায়তা করে আসছিল, তা গত ৩১ মার্চের মধ্যেই গমের আটা ও রান্নার জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। গাজার পরিবারগুলোর মধ্যে বিতরণ করা প্যাকেটজাত খাবারও ওই সময়ে শেষ হয়ে যায়।

 

সংস্থাটি এ সময় সতর্ক করে জানায়, এখানে নিরাপদ পানীয়জল ও রান্নার জ্বালানির মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে। মানুষ এখন খাবার রান্না করার জন্য পোড়ানোর মতো কিছু একটা খুঁজে বেড়াচ্ছে।

 

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে আনাদোলু জানাচ্ছে, গাজা বর্তমানে ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘ সীমান্ত অবরোধের শিকার হয়েছে। ধ্বংসস্তুপ ও মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়া উপত্যকাটিতে টানা সাত সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে কোনো মানবিক বা বাণিজ্যিক সহায়তা প্রবেশ করেনি।

 

সেখানে যুদ্ধবিরতির সময়ের তুলনায় বর্তমানে খাদ্যের দাম ১৪০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে। মৌলিক পণ্যের ঘাটতি চরমে পৌঁছেছে। যার ফলে শিশু, গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারী ও বয়স্কদের জন্য গুরুতর পুষ্টিহীনতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 

ডব্লিউএফপি জানায়, ১০ লাখ মানুষের চার মাসের জন্য যথেষ্ট হবে এমন ১ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য সহায়তা সীমান্ত খুললেই গাজায় পাঠানো যাবে।

 

একই সঙ্গে সংস্থাটি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ‘গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি আবারও একটি ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছেছে। মানুষ আর সহ্য করতে পারছে না’।

 

পাশাপাশি, ‘গাজার নাগরিকদের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। অবিলম্বে গাজায় সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে’ বলে বিশ্বের সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

দয়া করে পোস্টটি আপনার স্যোসাল মিডিয়া শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2019 LatestNews
Theme Customized BY LatestNews