1. [email protected] : Masumasian :
  2. [email protected] : Masum Talukdar : Masum Talukdar
শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৭:০৬ অপরাহ্ন

এমন কেউ নেই যিনি অন্তত একবার ছ্যাঁকা খাননি : ঋতাভরী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট এর সময় : সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১৮ বার পঠিত হয়েছে
ঋতাভরী

বিনোদন ডেস্ক : টালিউড অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী নিজের বাড়ি ভীষণ ভালোবাসেন। তাই সদ্য নতুন বাড়ি করেছেন তিনি। গত শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) অন্দরমহলের ছবি সামাজিক শেয়ার করেছেন অভিনেত্রীর । দেখে বোঝা যায়, খুব যত্ন নিয়ে সাজিয়েছেন প্রতিটি ঘর।

কাকতালীয়ভাবে মিলে যায় প্রেম দিবসে প্রকাশ্যে আসা তার আগামী সিনেমা ‘গৃহস্থ’-এর টিজার। সেখানে ঋতাভরী অভিনীত ‘অপর্ণা’ চরিত্রটি ভীষণ ঘরকুনো। বাড়ি থেকে বেরোতেই চায় না সে! বাস্তব আর কাল্পনিক চরিত্র কি রুপালি পর্দায় একাকার হয়ে গেল না অভিনেত্রী। এ বিষয়ে একটি গণমাধ্যম যোগাযোগ করে জানতে চেয়েছিল অভিনেত্রীর কাছে। তিনি জানিয়েছেন, দরকারে বাড়িতে থাকতে তিনি ভালোই বাসেন।

এসকে মুভিজির আগামী সিনেমা ‘গৃহস্থ’তে সেই চেনা মৈনাক ভৌমিক। সম্পর্ক আর রোমাঞ্চ দিয়ে বুনেছেন তার আগামী ছবি। যেখানে প্রতি মুহূর্তে কী কী উত্তেজনা আর গা ছমছমে রহস্য। টিজার দেখে অনেকেই ঋতাভরীকে ‘খুনি’ ভেবে নিচ্ছেন! সাতটি দিন প্রেমের জন্য ছাড় থাকলেও অলিখিতভাবে গোটা ফেব্রুয়ারিই যেন ভালোবাসার মৌসুম। আর ঋতাভরী কিনা তার অনুরাগীদের ভয় দেখাচ্ছেন, কিন্তু কেন?

অভিনেত্রী হাসতে হাসতে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়েছেন, প্রেমের চেয়ে ভয়ঙ্কর আর কী হতে পারে? ঠিক প্রেম না হলে হৃদয় ভাঙে, ঘর ভাঙে, সংসার তছনছ আর মানুষের জীবন নষ্ট! একটু দম নিয়েই ফের অনর্গল তিনি বলেন, এমন একজন কাউকে দেখাতে পারবেন, অন্তত একবার যার প্রেম ভাঙেনি! আমি তো জানি না।

এক ঘটনা পর্দার ‘অপর্ণা’র সঙ্গেও ঘটেছে। যার জেরে মিশুকে মেয়েটি আচমকা বদলে গেছে। সারাক্ষণ একমাত্র সন্তানের জীবনহানির শঙ্কায় কাঁটা। ভয়ে ঘরের বাইরে পা রাখতে চায় না। লোকে তাকে ‘পাগলি’ বলে! সেই মেয়েটিই পড়শি হয়ে আসা এক এক মেয়ের জীবন রক্ষা করতে গিয়ে কত বড় অসাধ্য সাধন করেছে— তারই গল্প এই ছবি। অপর্ণা ঘর থেকে বেরোয় না বলেই সে গৃহস্থ। সেই নামে সিনেমার নাম বলে জানান ঋতাভরী।

ছবিতে তিনি ছাড়াও আছেন কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌরভ দাস, সাহেব ভট্টাচার্য, অনুষা বিশ্বনাথনসহ আরও অনেকে। বিদেশে পুরো ছবির শুটিং হয়েছে। অভিনেত্রীর দাবি, ছকভাঙা কিছু করবেন— এই ভাবনা গোটা দলের ছিল। তাই প্রত্যেকে মানসিক দিক থেকে জড়িয়ে পড়েছিলেন ‘গৃহস্থ’-র সঙ্গে। যেমন— মৈনাক পরিচালনার পাশাপাশি লাইট দেখেছেন। ঋতাভরী অভিনয়ের পাশাপাশি পোশাক বা দৃশ্যে ব্যবহৃত মুখোশ বেছে জোগাড় করেছেন। অ্যাকশন দৃশ্যে সবার অভিনয় কেমন হবে, তার পরামর্শ দিয়েছেন সাহেব।
সিনেবোদ্ধাদের মতে, সম্ভবত ‘বহুরূপী’তে ‘পরী’ চরিত্র দিয়ে পর্দায় জটিল মনস্তাত্ত্বিক চরিত্রে অভিনয়ের হাতেখড়ি ঋতাভরী। টিজার বলছে, ‘গৃহস্থ’ও প্রায় একই ধাঁচের। আগের সেই ‘বাবলি গার্ল’ ঋতাভরী কি উধাও? আর ফিরবে না সে?

এমন প্রশ্ন শুনে বড় করে শ্বাস নিয়ে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘গৃহস্থ’ উইন্ডোজ প্রযোজনা সংস্থার ছবি ‘বহুরূপী’র আগে নির্মিত। চরিত্র দুটোয় ফারাক রয়েছে। যেমন নতুন ছবিতে ‘অপর্ণা’ মানসিক আঘাতে বদলে গেছে। সে মানসিক রোগী নয়। ‘বহুরূপী’র ‘পরী’ কিন্তু বাইপোলার ডিজঅর্ডার এবং স্ক্রিৎজোফ্রিনিয়ার শিকার। তাকে ওষুধ খেয়ে সুস্থ থাকতে হয়। তবে দুটো চরিত্রেই যে জটিল মানসিক অবস্থার ছোঁয়া রয়েছে এবং চরিত্র দুটো তাকে নিংড়ে নিয়েছে, মনের ওপরে চাপ ও ছাপ ফেলে গেছে, তা অস্বীকার করেননি। ‘হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্মের জন্য যে সিরিজে অভিনয় করছি, তাতে আমি বিধবার চরিত্রে। পরের আর একটি সিনেমাতেও তাই-ই।

অনবরত এ ধরনের চরিত্র করতে ভালো লাগে? আগের মতো হাসিখুশি মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করতে চাই। পটের বিবি সেজে নায়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতেও আপত্তি নেই। কিন্তু কোথাও বোধহয় পরিচালকদের চোখে আমি আগের তুলনায় পরিণত হয়ে গেছি। যার জেরে তারা মনে করছেন, শক্ত চরিত্র, তাতে মনস্তত্ত্বের প্রলেপ মানেই ঋতাভরী!

অভিনেত্রীর মতে, পরিচালকদের এই ভাবনা একাধারে তার জন্য আশীর্বাদ এবং অভিশাপও। নিত্যনতুন কঠিন ও জটিল চরিত্রে অভিনয়ের খিদে বাড়ছে তার। সম্পর্কের নানা স্তর এ ধারার চরিত্রের মাধ্যমে আবিষ্কার করতে পারছেন। দর্শকও ইদানীং তাই বদলে যাওয়া ঋতাভরীকে দেখতেই আগ্রহী।

দয়া করে পোস্টটি আপনার স্যোসাল মিডিয়া শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2019 LatestNews
Theme Customized BY LatestNews