স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশের নারী ফুটবল নিয়ে সংবাদ সাধারণত গৌরবের হয়। সাবিনা-সানজিদাদের জয়গাথা লিখতে-পড়তেই অভ্যস্ত সবাই। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে নেতিবাচক কারণে শিরোনাম হচ্ছে দেশের নারী ফুটবল। যার মূলে ইংলিশ কোচ পিটার বাটলারের সঙ্গে নারী ফুটবল দলের সিনিয়র সদস্যদের বৈরিতা।
নারী ফুটবলারদের একটা বড় অংশ পিটারের অধীনে খেলতে চান না। প্রায় ১৮ জন নারী ফুটবলার এই সিদ্ধান্তে অনড়। তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে সংকট নিরসনে গঠিত বাফুফের বিশেষ কমিটি। কোচ পিটার বাটলারের সঙ্গেও বসেছে তারা।
এই কমিটি শিগগিরই তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে। তারপর প্রতিবেদনের সুপারিশ পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) কর্তারা।
তবে সে কমিটির কাছে কী বলেছেন, সে বিষয়ে আজ (বুধবার) গণমাধ্যমকে একটি ধারণা দিয়েছেন কোচ পিটার বাটলার। বলেছেন, ‘কয়েক ফুটবলারের নাম দিয়েছি আমি। তারা থাকলে কোচিং করাব না। অনুশীলনে যাচ্ছে না কয়েক ফুটবলার এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। এটা বাজে এবং এগুলো বন্ধ হওয়া উচিত।’
তিনি আরো বলেন, ‘(কমিটির সঙ্গে) ভালো পরিবেশে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। তারা জানতে চেয়েছে। আমিও ব্যাখ্যা দিয়েছি। বেশ স্পষ্টভাবে বলেছি যে যারা বাফুফে ভবনে থেকে ও বাফুফের খাবার খেয়ে বাফুফেতেই উল্টোপাল্টা কথা বলে, তাদের কোচিং করাব না।’
সাবিনাদের শৃঙ্খলা নিয়ে বড়সড় একটা প্রশ্ন রেখে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ বলেন, ‘সমঝোতার কিছু নেই এখানে। তারা থাকলে আমি থাকছি না। এটা স্পষ্ট। বাংলাদেশ দুইবার নারী সাফ জিতেছে। নারী বিদেশি লিগে কয়জন নারী ফুটবলার খেলে? শৃঙ্খলাজনিত কারণেই বিদেশি লিগে নেই তারা। ইংলিশ ও ফুটবল সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা আছে আমার। যা চলছে, মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।’