অনলাইন ডেস্ক – সরকারের ঋণ আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের চেয়ে অনেক কম দাবি করে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হেসেন চৌধুরী নওফেল বলেছেন, কিন্তু প্রচার করা হচ্ছে অন্যভাবে। তবে ঋণ নিয়ে যেভাবে প্রচার করা হচ্ছে, ঋণ তার চেয়ে অনেক কম।
আজ শুক্রবার (৭ জুন) ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এবং এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, মন্ত্রীপরিষদ সচিব মে. মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ও অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হেসেন চৌধুরী নওফেল বলেন, আমাদের প্রবৃদ্ধিটা যেন থাকে, মূল্যস্ফীতি যেন কমে যায় বা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে সরকারের ঋণ নিয়ে নেতিবাচক প্রচার করা হচ্ছে, যেভাবে প্রচার করা হয়েছিল কোভিডের। আমাদের ঋণ এখনও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের অনেক নীচে। অন্যদের তুলনায় এখনও অনেক ভালো আছে।
তিনি বলেন, জিডিপির ৩০তম দেশ আমাদের। আমরা বাজেটে প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতিকে প্রাধান্য দিয়েছি। তাছাড়া কোন দেশের বাজেটেই লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ পূরণ হয় না। উন্নত দেশে বাজেট ঘাটতি ৫ শতাংশের ওপরে, আমেরিকায় ৬ দশমিক ৮ শতাংশ ঘাটতি। আমাদের ঘাটতি বাজেট ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
এরআগে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
এবারের বাজেটের প্রতিপাদ্য হলো ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’। প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। যা জিডিপির ১৪.২ শতাংশ। এটি চলতি বাজেটের তুলনায় ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। টাকার অঙ্কে বাড়ছে ৩৫ হাজার ২১৫ কোটি টাকা। যা চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা বাজেট ঘোষণা করে সরকার। আর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছর ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা।
নতুন বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয় ২ লাখ ৮৩ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছর ছিল ৫ লাখ কোটি টাকা।
আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে যা ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। পরে তা কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ করা হয়। মোট জিডিপি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা। মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশের মধ্যে আটকে রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বাজেটে।