নিউজ ডেস্ক : আমাদের মধ্যে বিভিন্ন মতপার্থক্য থাকলেও আমরা পরস্পরের শত্রু নই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দেশের চলমান বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এতে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সংগঠনের নেতারা অংশ নিয়েছেন। রয়েছেন বিভিন্ন মন্দিরের পুরোহিত, ধর্মীয় উপাসানলয়ের যাজকরাও। এ ছাড়াও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের স্কলার্সরাও যোগ দিয়েছেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পরপরই এ সরকার যখন গঠন হয়, তখন আমি বিমানবন্দরে সবার কাছে আন্তরিকভাবে একটা আহ্বান জানিয়েছিলাম, আমরা একটা পরিবার। আমাদের নানা মত থাকবে। নানা ধর্ম ও নানা রীতিনীতি থাকবে। কিন্তু আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য, এটাতেই জোর দিয়েছিলাম। আমরা মতপার্থক্য সত্ত্বে কারও শত্রু নই। সবাই একই কাতারে চলে আসি। আমাদের পরিচয় আছে, আমরা বাংলাদেশি এবং এক পরিবারের সদস্য।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যখন শপথ গ্রহণ করলাম, শুনলাম যে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যচার চলছে। এরপরই আমি খোঁজ নিই এবং ঢাকেশ্বরী মন্দিরে চলে যাই। সেখানে আমাকে কিছু দাবি-দাওয়া দেয়া হলো। তবে একটি দাবি হচ্ছে ‘আমাদের সবার সমান অধিকার। বলার অধিকার, ধর্মের অধিকার ও কাজকর্মের অধিকার। সেগুলো আসবে সংবিধান থেকে এবং রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেগুলো নিশ্চিত করা। আমি তাদের আন্তরিকভাবেই বলেছিলাম যে আমরা এটা দেখব নিশ্চিত করার ব্যাপারে। সংবিধান নাগরিককে যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেগুলো তার কাছে পৌঁছে দেওয়া ও নিশ্চিত করা আমার কাজ।
দুর্গাপূজায় নিরাপত্তায় সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, দুর্গাপূজা পুরো জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছিল। তখন তৃপ্তি পেলাম একটু তো কাজ করেছি। কিন্তু শুনলাম এখনও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে। তাই আমি সবাইকে নিয়ে বসলাম এটা থেকে কীভাবে উদ্ধার করা যায়। তবে, সবদিকে দেখলাম হামলা, অত্যচার হচ্ছে না। তথ্যের মধ্যে বিশাল ফারাক আছে। এটা ঠিক না। এটার অবসান হতে হবে।
ভুল তথ্যের বিষয়ে সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো ঘটনার প্রকৃত তথ্য জানার প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠিত করতে চাই, যাতে দোষীকে তাৎক্ষণিক বিচারের আওতায় আনা যায়।