আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি অভিষেকের আগেই গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চান বলে জানিয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী।
স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল-থানি নিশ্চিত করেছেন, ট্রাম্প শপথ গ্রহণের আগেই ফিলিস্তিনের গাজা অঞ্চলে ইসরায়েলের গণহত্যা যুদ্ধের সমাধান দেখতে স্পষ্টভাবে অভিপ্রায় জানিয়েছিলেন। উনি সেটা পরিষ্কারও করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা তার (ট্রাম্প) দলের কাছ থেকে এটি শুনেছি, অন্তত আমি তাদের সাথে যে কথোপকথন করেছি, তারা চায় যে এটি এখনই সমাধান করা হোক – এমনকি সম্ভব হলে আজও।
আলোচনার কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে কাতারের প্রধানমন্ত্রী জানান, যতটা সম্ভব এই প্রক্রিয়া রক্ষার জন্য তিনি কিছু তথ্য বলতে চান না। ‘আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই একমত এবং প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) অফিসে আসার আগেই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার আশা করছি। পরিস্থিতি স্থিতিশীল করা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আমাদের অগ্রাধিকার রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের নেতৃত্বে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েল ও হামাস প্রতিরোধ গোষ্ঠীর মধ্যে বন্দী বিনিময় চুক্তিতে পৌঁছানোর মধ্যস্থতার সাম্প্রতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। কেননা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধ থামাতে অস্বীকার করেছেন।
এই যুদ্ধে নেতানিয়াহুর সৈন্যরা প্রায় ৪৫,০০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। গণহত্যামূলক যুদ্ধে ১০৫,০০০ জন আহত হয়েছে এবং প্রায় ২.৪ মিলিয়ন লোক উচ্ছেদ হয়েছে।
ইসরায়েল প্রায় ১০ হাজার ফিলিস্তিনিকে অপহরণও করেছে। তাদের বেশিরভাগই অপহৃত হয়েছে গত বছরের অক্টোবর থেকে। এদের বেশিরভাগকেই ইসরায়েলি কারাগার ও নির্যাতনের স্থানে রাখা হয়েছে।