কক্সবাজারে বনবিভাগের বিশেষ অভিযানে জিআর তার ও অবৈধ জাম্পার জব্দ
নুরুল আমিন হেলালী কক্সবাজার : পর্যটন নগরী কক্সবাজারে মানুষ- হাতি সংঘাত করণীয় শীর্ষক জনসচেতনতামূলক সভা শেষে সদর বিটের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় জিআর তার এবং অবৈধ বালিবাহী জাম্পার জব্দ করা হয়েছে।
রবিবার ২ ডিসেম্বর সকালে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের উদ্যোগে আয়োজিত সদর বিটের কয়েকটি এলাকায় মানুষ- হাতি সংঘাত করণীয় শীর্ষক জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসভা শেষে অভিযান চালিয়ে সদর বিটের এলাকা থেকে জিআর তার এবং নাপিতখালী বিটের শাহ ফকির বাজার নামক এলাকা থেকে অবৈধ বালিবাহী জাম্পার জব্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফুলছড়ি রেঞ্জে রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মোঃ রাশিক। বন বিভাগের সূত্রে জানা যায়, বন্য হাতি, বন্যপ্রাণী, বনজদ্রব্য, বনভূমি রক্ষার্থে বন বিভাগ সজাগ রয়েছেন। হাতীর নিরাপদ আবাস্থল, তাদের খাদ্য নিরাপত্তা, পশু শিকারীর হাত থেকে হাতী রক্ষা, হাতীর আক্রমণ থেকে জীবন রক্ষা, ফসলের ক্ষতি, বসতবাড়ীর সুরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।আলোচনা সভা শেষে ২৪ ঘন্টা অভিযান চালানো হয়।
উক্ত অভিযানে সদর বিট এলাকা থেকে অবৈধ জিআর তার এবং নাপিতখালী বিট এলাকা থেকে অবৈধ বালিবাহী জাম্পার জব্দ করা হয়। অপরাধের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্যে রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মোঃ রাশিক বলেন,বন্যহাতি লোকালয়ে চলে আসলে তিনি বন বিভাগকে অবগত করার অনুরোধ জানান। তবুও যেন হাতিকে আক্রমণ করা না হয়। হাতি রক্ষায় আমরা বনের ভেতর সুফল প্রকল্পের মাধ্যমে দেশীয় জাতের বৃক্ষ রোপণ করছি। যাতে খাবারের অভাবে হাতি লোকালয়ে না আসে। যাতে হাতি বনের মধ্যে নিরাপদে সেখানে বিচরণ করতে পারে।
ইদানীং বুনো হাতির চলাচলের গতি-প্রকৃতি পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। আগে বুনো হাতি একত্রে দল বেঁধে চলাফেরা করত। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি-দুটি হাতি দলছুট হয়ে চলাফেরা করছে। এতে ঝুঁকি বাড়ছে। ফলে বন্য প্রাণীর আবাসস্থল সেই আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। মানুষ ও হাতির সংঘাত নিরসন এবং বনজসম্পদ, বন্যপ্রাণী রক্ষা এবং বনভূমি জবরদখলসহ সব অপরাধের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান।