অনলাইন ডেস্ক : আগামী বছরের ডিসেম্বরে শেষ হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দরে কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ কাজ। আশা করি পূর্ণাঙ্গ চালু না হলেও ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়ে যাবে। এটি চালু হলে বন্দরের সক্ষমতা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন।
সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দরে কার্গো টার্মিনালের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ও কন্টেইনার নদীবন্দর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই কথা জানান। বিশ্ব ব্যাংকের ২১০ কোটি টাকা অর্থায়নে নৌবন্দরে নতুন কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ করছে বিআইডব্লিউটিএ। নতুন এই টার্মিনালে ৩টি জেটি ও স্টোরেজ সেডসহ বিভিন্ন অবকাঠামো রয়েছে। আগামী বছরের ডিসেম্বরে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
নৌ উপদেষ্টা বলেন, কার্গো টার্মিনাল নির্মাণের জন্য আশুগঞ্জ নৌবন্দরকে হাব হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। এটি নির্মিত হলে ১০ লাখ মেট্রিক টন মালামাল উঠানামা করবে। আরেকটি বিষয় হলো বিশ্বব্যাংক যখন অর্থায়ন করে, তখন তারা না দেখে করে না। তারা যদি মনে করে এটা লাভজনক, তখনই তারা অর্থায়ন করে।
এ সময় উপদেষ্টার সঙ্গে বিআইডব্লিউটির চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বিআইডব্লিউটির প্রকল্প পরিচালক আয়ুব আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার জাবেদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জেসমিন সুলতানা, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাক উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বিআইডব্লিউটির চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেন, ইতোমধ্যে ২৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ শেষ হতে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
নদীর নাব্যতা বিষয়ে তিনি বলেন, আগেও এখানে জেটি ছিল। সেই আলোকেই নতুন জেটি করা হচ্ছে। জেটির তলায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে না। খোলা থাকবে। যার কারনে পানির প্রবাহ ঠিক থাকবে। আশঙ্কার কোন কারণ নাই। তবে যদি কোন কারনে সমস্যা হয় তাহলে সেই আলোকে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।