অনলাইন ডেস্ক – কুরআনে এসেছে, ‘যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় ধনসম্পদ ব্যয় করে তাদের উদাহরণ একটি বীজের মতো, যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়। প্রত্যেকটি শীষে একশ করে দানা থাকে। আল্লাহ অতি দানশীল, সর্বজ্ঞ। (সূরা বাকারা : ২৬১)। দানে ধন কমে না। রাসূল (সা.) জোর দিয়েই বলেছেন, ‘কোনো দান-সদকাই সম্পদে ঘাটতি সৃষ্টি করে না।’ (সহিহ মুসলিম : ২৫৮৮)।
দানের ফজিলতের ব্যাপারে অনেক হাদিসই বর্ণিত হয়েছে। এক হাদিসে রাসূল (সা.) বলেন, ‘প্রতিদিনই দুজন ফেরেশতা নেমে আসেন। তাদের একজন দোয়া করেন, আল্লাহ! যে দান করে তাকে আপনি আরও দিন। অপরজন দোয়া করেন- আল্লাহ! যে ধনসম্পদ আঁকড়ে ধরে রাখে, তার সম্পদ ধ্বংস করে দিন।’ (সহিহ বোখারি : ১৪৪২)।
তাছাড়া দান সদকা মানুষকে বিপদাপদ থেকেও রক্ষা করে এবং আল্লাহতায়ালার ক্রোধ দমিয়ে দেয়। রাসূল (সা.) এরশাদ করেন : ‘নিশ্চয়ই দান আল্লাহর ক্রোধ নিভিয়ে দেয় এবং অপমৃত্যু ঠেকায়।’ (জামে তিরমিজি : ৬৬৪)।
পক্ষান্তরে কৃপণতা খুবই মন্দ স্বভাব। কৃপণ ব্যক্তিকে আল্লাহ পছন্দ করেন না। কুরআনে কারিমে এসেছে, ‘আল্লাহ তাদেরকে নিজের অনুগ্রহে যা দান করেন তাতে যারা কৃপণতা করে, এ কার্পণ্যকে তারা যেন মঙ্গলকর মনে না করে। বরং এটা তাদের জন্য অতি মন্দ। যে সম্পদে তারা কৃপণতা করে সে সম্পদ কিয়ামতের দিন তাদের গলায় বেড়ি বানিয়ে পরানো হবে। আর আল্লাহ আসমান ও জমিনের পরম স্বত্বাধিকারী। আর যা কিছু তোমরা কর; আল্লাহ সে সম্পর্কে জানেন। (আলে ইমরান : ১৮০)। আরও এরশাদ হয়েছে, ‘যারা স্বর্ণ-রোপ্য জমা করে রাখে এবং আল্লাহর পথে ব্যয় করে না। তাদের কষ্টদায়ক শাস্তির সংবাদ দাও।’ (সূরা তাওবা : ৩৪)।