এজলাসে শুনানি চলাকালে কান্নায় ভেঙে পড়েন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতের এজলাসে আসামিদের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় তাকে।
রিমান্ড শুনানিতে সাবেক কৃষিমন্ত্রী আদালতকে বলেন, আমি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে আমেরিকার বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেছি। ২৪ বছর সরকারি চাকরি করেছি বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে। দেশপ্রেমের তাড়নায় আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার আগে স্বৈরাচার আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে জনসমাবেশ করেছি। ’৬৯ এ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। ’৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ শুধু অংশগ্রহণ না, নেতৃত্বও দিয়েছি। আমার বয়স যখন ১১ মাস তখন বাবা মারা যান। আমি ও আমার ভাই নানা বাড়িতে মানুষ হয়েছি। আমরা সেল্ফ ডিপেন্ডেন্ট ছিলাম। আমার পরিবারের সবাই যার যার জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। যে অভিযোগে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার সঙ্গে বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চাই।
এদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার মিছিলে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার মামলায় আব্দুর রাজ্জাকের দুই দিনের রিমান্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আসামির উপস্থিতিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আরিফ আসামির ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে শুনানি শেষে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা যায়, গত ১৯ জুলাই বিকেল ৫টায় নিউমার্কেটের ১নং গেটের সামনে গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ। এ ঘটনায় গত ২১ আগস্ট নিউমার্কেট থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত ব্যবসায়ীর আব্দুল ওয়াদুদের শ্যালক আব্দুর রহমান।
এর আগে সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ইস্কাটন এলাকা থেকে সাবেক এই কৃষিমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) একটি দল।