1. [email protected] : Abu Bakar : Abu Bakar
  2. [email protected] : Masumasian :
  3. [email protected] : News Editing : News Editing
বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশষ সংবাদ:

বন্দর অবকাঠামোসহ জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী ডেনমার্ক

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট এর সময় : বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৬ বার পঠিত হয়েছে

বাংলাদেশের বন্দর অবকাঠামো এবং জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে ডেনমার্ক। বুধবার (৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এর সাথে ঢাকায় নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এমন আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন।

 

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে গঠিত বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “ডেনমার্কের সরকার প্রধান বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন এবং বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিতে দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, “ডেনমার্ক বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ-ডেনমার্ক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও সহযোগিতার পঞ্চাশ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। এই দীর্ঘ পথচলায় উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব ও সহানুভূতির স্বাক্ষর হিসেবে চমৎকার একটি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। জলবায়ু পরিবর্তনসহ বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যুতে সমভাবাপন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দেশদুটিকে একাত্ম করেছে। বন্দর ও জাহাজ শিল্পে ডেনমার্কের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। এরই ধারাবহিকতায় ডেনিশ সরকার বাংলাদেশের বন্দর অবকাঠামোসহ জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী। এ সময় রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় লালদিয়ার চরে কন্টেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগের বিষয়ে তাঁদের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

 

বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প ও বন্দর অবকাঠামো উন্নয়নে ডেনমার্কের বিনিয়োগের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “বর্তমান সরকার বিনিয়োগবান্ধব সরকার। ছাত্র-জনতার বিপ্লবে গঠিত নতুন বাংলাদেশে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যেকোনো সমুদ্রবন্দরের জন্য আন্তর্জাতিকমানের শিপইয়ার্ড/ডকইয়ার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় উপদেষ্টা মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের শিপইয়ার্ড নির্মাণে ডেনিশ সরকারের কারিগরী ও আর্থিক সহায়তা কামনা করে বলেন, “সরকার বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এখানে বিনিয়োগকারীদের প্রতিটি বিনিয়োগ হবে নিরাপদ ও হয়রানিমুক্ত।” এ সময় তিনি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে নিশ্চিন্তে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাঁর মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর সংস্থার সকল কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। কোনো ব্যবসায়ী বা বিনিয়োগকারীকে হয়রানি করার সুযোগ নেই।

 

এ সময় উপদেষ্টা বাংলাদেশের গৌরবময় পাট ও বস্ত্র শিল্পে ডেনিশ কোম্পানীগুলোকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “পরিবেশগত কারণে ইউরোপে পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় পাট উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক দেশ। আমাদের পঁচিশটি করে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল ও বস্ত্রকল রয়েছে। যেগুলোর অধিকাংশ অবস্থান বন্দরের নিকটে। এ খাতে দক্ষ জনবল রয়েছে। এসকল খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে উভয় দেশই উপকৃত হতে পারে।

 

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ডেনমার্ককে অন্যতম প্রধান অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, “বন্ধুপ্রতীম দু’দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক খুবই চমৎকার। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠী ও উপকূলীয় এলাকার উন্নয়নে ডেনমার্কের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।”

 

এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আব্দুর রউফ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) দেলোয়ারা বেগম, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) মোঃ মুহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

দয়া করে পোস্টটি আপনার স্যোসাল মিডিয়া শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2019 LatestNews
Theme Customized BY LatestNews