অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর প্রশাসনে পরিবর্তনের মধ্যে পদত্যাগ করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব খুরশেদ আলম।
রোববার তার পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক তৌফিক হাসান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আজ (রোববার) প্রশাসন শাখায় পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।”
ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ মীমাংসার প্রক্রিয়ার মধ্যে বিশেষজ্ঞ হিসেবে ২০০৯ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয় অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল খুরশেদ আলমকে।
এরপর তাকে সচিব হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান হিসাবে রাখা হয়।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে ভারত এবং মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা বিজয়ের যে আইনি প্রক্রিয়া তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।
শান্তিপূর্ণ উপায়ে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ মেটানোর ক্ষেত্রে অবদানের জন্য খুরশেদ আলমকে ‘বঙ্গবন্ধু কূটনৈতিক উৎকর্ষ পদক ২০২০’ দেয় আওয়ামী লীগ সরকার।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন হয়, যা ২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা ছিল।
পররাষ্ট্র সচিব কর্মস্থলের বাইরে থাকলে জ্যেষ্ঠ হিসেবে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালন করতেন এই কর্মকর্তা।
সর্বশেষ আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের প্রেক্ষাপটে মাসুদ বিন মোমেনকে বাদ দেওয়ার পর কয়েকদিনের জন্য পররাষ্ট্র সচিবের ‘রুটিন’ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল খুরশিদ আলমকে।