চলতি মাসেই সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সদস্য দেশগুলোর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবারের সম্মেলনের আয়োজক দেশ পাকিস্তান। ভারতের পক্ষ থেকেও একটি প্রতিনিধিদল যোগ দেবেন এই সম্মেলনে, যার নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
তবে সেখানে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কোনো আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। আজ রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল শনিবার দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে জয়শঙ্কর জানানন, তিনি বহুপক্ষীয় আলোচনায় যোগ দিতে পাকিস্তানে যাচ্ছেন, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছেন না।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের বৈঠকের ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমগুলোর বেশ কৌতূহল রয়েছে। দুই দেশের সম্পর্ক যে পর্যায়ে রয়েছে, সেই কারণেই সম্ভবত এই কৌতুহল। তাই আমি স্পষ্ট করে বলছি, সেখানে কোনো দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সুযোগ নেই। আমি এসসিওর একজন সদস্য দেশের প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে যাচ্ছি।’
আগামী ১৫-১৬ অক্টোবর পাকিস্তানের ইসলামাবাদে এসসিও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ওই সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই আলোচনা চলছিল। শেষে গত শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সরবারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেন, ‘ইসলামাবাদে ভারতীয় প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দেবেন জয়শঙ্কর।’
এক প্রশ্নের জবাবে গতকালের সংবাদ সম্মেলনে জয়শঙ্কর বলেন, ‘সাধারণত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে (রাষ্ট্রনেতাদের বৈঠকে) প্রধানমন্ত্রী যান। সরকারগুলোর বৈঠকে কোনো এক মন্ত্রী যান, সেটি পরিবর্তন হতে থাকে। এটিই রেওয়াজ। এবারের এসসিওর বৈঠকে আমি যাচ্ছি।’
রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুপস্থিতিতে এসসিওর বৈঠকে দিল্লি থেকে অন্য কোনো প্রতিনিধি যাওয়ার নিদর্শনও রয়েছে। যেমন চলতি বছরের ৩-৪ জুলাই কাজাখস্তানে এসসিওর বৈঠকে থাকেননি মোদি। তার বদলে ভারতের হয়ে সেবারও প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন জয়শঙ্কর। গত বছর ভারতের গোয়ায় যখন সাহাই কো-অপারেশনের বৈঠক হয়েছিল, তখনো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সে দেশে যাননি। তিনি পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকে।
কাশ্মীর সমস্যা থেকে শুরু করে পাকিস্তান থেকে জঙ্গি অনুপ্রবেশসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কের মধ্যে অস্থিরতা রয়েছে। ফলে দুই দেশের কূটনৈতিক আলোচনাও হতে দেখা যায় না।