২০০৯ সাল থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সীমিত হতে থাকে বাংলাদেশের। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা অধিকাংশ পণ্য ‘রেড লেন’ বা লাল তালিকাযুক্ত করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সম্প্রতি পাকিস্তানের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির পণ্যগুলোকে লাল তালিকা থেকে অবমুক্ত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বুধবার (২ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত নতুন আদেশ জারি করেছে এনবিআর।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল আওয়ামীল ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রচ্ছন্ন চাপে পাকিস্তানের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সীমিত হতে থাকে। সবশেষ নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা অধিকাংশ পণ্য ‘রেড লেন’ বা লাল তালিকাযুক্ত করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব মো. আবদুল কাইয়ুম স্বাক্ষরিত এক আদেশে জানানো হয়, পাকিস্তান থেকে আসা সব ধরনের পণ্য এখন থেকে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড পদ্ধতির ‘রেড লেন’ থেকে মুক্ত থাকবে। আগে শুধু পাকিস্তানের পণ্য রেড লেনে ছিল। জাতীয় সিলেকটিভিটি ক্রাইটেরিয়ার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় এই অবমুক্তকরণ করা হয়েছে।
মাদকদ্রব্যসহ নিষিদ্ধ পণ্যে কঠোরতা রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি ও পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে সহজ পদ্ধতির পথে হাঁটছে এনবিআর উল্লেখ করে এনবিআরের আদেশে বলা হয়েছে, এতে করে দেশে উৎপাদনমুখী পণ্যের কাঁচামাল আমদানিতে কোনো রকম জটিলতা থাকবে না।
এদিকে পাকিস্তান থেকে আগত সব পণ্যের চালান ন্যাশনাল সিলেকটিভ ক্রাইটেরিয়া কর্তৃক শতভাগ কায়িক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হচ্ছে। ফলে রেড লেন থেকে অবমুক্তকরণে অ্যাসিস্ট্যান্ট বা ডেপুটি কমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অধিক সময় ব্যয় হচ্ছে।
তা ছাড়া কায়িক পরীক্ষায় উল্লেখযোগ্য কোনো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না বিধায় ঢাকা কাস্টমস হাউজকে ন্যাশনাল ক্রাইটেরিয়া থেকে বহির্ভূত রাখার জন্য বলা হয়েছে।
এনবিআরের আদেশে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তান থেকে আগত সব ধরনের পণ্য চালান ন্যাশনাল ক্রাইটেরিয়াবহির্ভূত রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এছাড়া লোকাল ক্রাইটেরিয়ার আওতায় সময়ে সময়ে ঝুঁকি বিবেচনায় ওই দেশ থেকে আমদানির ক্ষেত্রে পণ্যভিত্তিক রিস্ক ম্যানেজমেন্ট চালু রাখার বিষয়ে কাস্টমস হাউজগুলো প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। তিনি দুই দেশের স্তিমিত বাণিজ্য সম্পর্ক পুনরায় জোরদার করার আহ্বান জানান।
সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কারণে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য স্তিমিত ছিল, তবে পাকিস্তান এখন আবার বাণিজ্য শুরু করতে আগ্রহী।