হিমেল তালুকদার – বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের নির্দেশে আজ ১৬ জানুয়ারি ফার্মগেইটে এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শান্তি সমাবেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলছে, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ঠিক সেই মুহূর্তে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিএনপি-জামাত দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে পদে পদে নানামুখী ষড়যন্ত্র করে চলছে। এই বিএনপি-জামাত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, উন্নয়নে বিশ্বাস করে না, তারা পাকিস্তানী ভাবধারায় বিশ্বাসী। যারা পাকিস্তানী মতাদর্শে বিশ্বাসী তাদেরকে এই দেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামাতের সমাবেশ থেকে বলা হয় ’৭২-এর সংবিধান ছুড়ে ফেলে দিতে হবে। তাদের এতো বড় ধৃষ্টতা হয় কি করে। যারা সংবিধান মানে না, গণতন্ত্র মানে না, তাদের ধৃষ্টতার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় দেশের সংবিধান রক্ষার্থে, গণতন্ত্র রক্ষার্থে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের রাজপথে কঠোরভাবে প্রতিহত করবে।
শান্তি সমাবেশে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা যখন একই দিনে ৬০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করে ইসলামের খেদমত করছেন ঠিক সেই মুহূর্তে বিএনপি-জামাত গণ-আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য আর জনগণের জানমালের ক্ষতি করছে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতারা বলেছিলেন ১০ ডিসেম্বরের পর দেশ নাকি খালেদা জিয়ার কথায় চলবে। আপনারাই দেখছেন ১০ ডিসেম্বরের পর আওয়ামী লীগ এখনও ক্ষমতায় রয়েছে জনগণের সেবা করছে। বিএনপি নেতা কর্মীদের রাজপথে নয় গরুর হাটে পাওয়া যায়। তাদের সাথে জনগণের কোন সম্পৃক্ততা নাই। বিএনপির মিছিলে ১০ জন কর্মী নামলে ৪০ জন থাকে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি। সুতরাং তাদের কথায় আর এদেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। যারা মানুষ মারে, পেট্রোল বোমা মারে, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে এদেশের জনগণ তাদেরকে আর চায় না। যারা এদেশের বিরুদ্ধে, বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে তাদেরকে রাজপথেই কঠোরভাবে প্রতিহত করবে যুবলীগ।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, ডা: খালেদ শওকত আলী, মোঃ নবী নেওযাজ, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, সেলিম আলতাফ জর্জ এমপি, ইঞ্জি. মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, মোঃ জহির উদ্দিন খসরু, মশিউর রহমান চপল, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক, শাহীন মালুম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুল মুকিত চৌধুরী, উপ-প্রচার সম্পাদক আদিত্য নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ আলতাফ হোসেন, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্য। এসময় কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.
Asian News 24 BD