অনলাইন ডেস্ক – দীর্ঘদিন কোনঠাসা থাকার পর বর্তমানে অনেকটাই চাঙা বিএনপি।
ঘোষিত ১০টি বিভাগীয় সমাবেশের মধ্যে ইতোমধ্যে পাঁচটি সফলভাবে শেষ করেছে তারা। এতে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে চাঙাভাব ফিরে এসেছে। দলীয় সূত্র বলছে, বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সরকারের নানা রকমের বাধাবিপত্তি এড়িয়ে বড় বড় সমাবেশ করছে। এক বিভাগের সমাবেশ দেখে অন্য বিভাগের নেতাকর্মীরা উজ্জীবীত হচ্ছেন। ফলে পরবর্তী সমাবেশে বাধা দেওয়া হলেও জনসমাগম ঠেকানো যাচ্ছে না। তারা এখন স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা দেশের সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করছি। প্রথম দফা সংলাপ শেষে দ্বিতীয় দফার সংলাপ চলছে। একই সঙ্গে গত চার মাস আমরা আন্দোলনে আছি। রাজধানীতে ১৬টি সমাবেশের পর বিভাগীয় সমাবেশ চলছে। নেতাকর্মীরা রাস্তায় নেমে এসেছেন। একই সঙ্গে দেশের সর্বস্তরের মানুষও সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। সরকার শত বাধা দিয়ে তাদের দমাতে পারেনি। অতীতে আমরা দেখেছি বাংলাদেশের জনগণ কখনও বাধা পেয়ে থেমে যায় না। এবারও তাদের থামাতে পারবে না। গণসমাবেশের মাধ্যমে জনগণকে উজ্জীবীত করে গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে সরকারকে দাবি মেনে নিতে বাধ্য করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলেছি এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নতুন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করবে। তাদের অধীনে সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে একটি জনগণের সংসদ ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।
জানা গেছে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর ও বরিশালে গণসাবেশ শেষ করেছে বিএনপি। সামনে ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে, ১৯ নভেম্বর সিলেটে, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় ও ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে গণসমাবেশ করবে বিএনপি। এরপরে আগামী ১০ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে। এককভাবে এসব সমাবেশ করলেও ১০ডিসেম্বরের সমাবেশে সমমনা ও শরীকদলগুলোর নেতাকর্মীদের যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই সমাবেশ থেকে নতুন করে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান বলেন ,গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য শিগগিরই একটি গণঅভ্যুত্থান হবে। ১৯৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনে অনেকের রক্তের বিনিময়ে আমরা গণতন্ত্র পেয়েছিলাম। সেই গণতন্ত্র আজ ভূলুণ্ঠিত। মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত। আজকে দেশের জনগণের ভোটাধিকার নেই। সেই ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য এই বাংলাদেশে, এই ঢাকার মাটিতে শিগগিরই আরেকটি গণঅভ্যুত্থান হবে। সেই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই অবৈধ, ভোট চোর, ভোট ডাকাত, নিশিরাতের আওয়ামী সরকারের পতন হবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.
Asian News 24 BD