অনলাইন ডেস্ক – ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে পশু কেনাবেচার ধুম পড়েছে। হাটবাজারে গরু ও ছাগলে সয়লাব। সেগুলো থেকে পশু কেনার সময় কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তা না হলে আপনাকে নানারকম বিড়ম্বনায় পড়তে হতে পারে। তাই
১) গরুটি যদি গাভী হয় সে ক্ষেত্রে গাভীটি গর্ভবতী কিনা তা পরীক্ষা করা আবশ্যক। কাছাকাছি কোনো পশু হাসপাতাল বা পশুর হাটে থাকা কোনো পশু চিকিৎসক বা ভেটেরিনারি সার্জন দ্বারা গরুর গর্ভ পরীক্ষা করাতে পারেন। অথবা কাছাকাছি অন্য কোনো পশু ডাক্তার বা অভিজ্ঞ লোক দ্বারা পরীক্ষা করাতে পারেন।
২) গরুর বয়স হয়েছে কিনা, গরুর দাঁত দেখে বয়স বোঝা যায়। গরু অন্ধ বা শিং ভাঙা কিনা, গরু স্বাভাবিকভাবে খায় কিনা, সেটি দেখে নিতে হবে। এ জন্য কেনার সময় গরুকে খড় বা অন্য কোনো খাবার খেতে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন। গরুর গায়ে কোনো কাটা বা ক্ষত আছে কিনা, গরু কোনো রোগে আক্রান্ত কিনা তা খেয়াল রাখতে হবে। সন্দেহ হলে পশু ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন অথবা ওই গরু কেনা থেকে বিরত থাকুন।
৩) এ সময় গরুর যেসব রোগ হতে দেখা যায় তার মধ্যে খুরারোগ, বদহজম, পেট ফাঁপা, পাতলা পায়খানা, সর্দি, কাশি, জ্বর, গায়ে ব্যথা প্রভৃতি। এসব রোগ আছে কিনা সেটি সন্দেহ হলে পশু ডাক্তার দিয়ে যাচাই করে নিতে হবে। এ ধরনের পশু বাড়িতে এলে অন্য পশুও আক্রান্ত হতে পারে।
৪) খুরারোগ হলে গরুর পায়ে ঘা থাকবে। অনেক সময় আলকাতরা, কালো রঙ, কাদামাটি দিয়ে ঘা লুকানোর চেষ্টা করা হয়। তাই ভালো করে দেখে নেওয়া ভালো।
৫) ছাগলের ক্ষেত্রে দেখে নিন ছাগল সুস্থ-স্বাভাবিক আছে কিনা। স্বাভাবিকভাবে খায় কিনা। পাতলা পায়খানা, মুখে ঘা, পেট ফাঁপা রোগ আছে কিনা লক্ষ রাখতে হবে। পাতলা পায়খানা হলে পায়খানার রাস্তা দেখলেই বোঝা যাবে। কারণ পাতলা পায়খানা হলে পায়খানার রাস্তায় মল লেগে থাকবে। আর গরুর ক্ষেত্রে গায়ে গোবর লেগে থাকতে পারে।
৬) গায়ে ব্যথা হলে গরু কম নড়াচড়া করবে। সর্দি হলে লালা ঝরতে পারে, আর কাশি হলে কাশতে পারে। সর্বোপরি অসুস্থ গরু স্বাভাবিকভাবে খাবে না, নড়াচড়া কম করবে এবং ঝিমুবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.
Asian News 24 BD