এশিয়ান ডেস্ক : সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী নুসরাত ঘানি এবার ধর্মীয় গোঁড়ামির অভিযোগ তুললেন দেশটির সমালোচিত প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিপক্ষে।
সানডে টাইমসের এক খবরে জানা যায়, সাবেক জুনিয়র পরিবহন মন্ত্রী নুসরাত ঘানি তার মন্ত্রীত্ব হারিয়েছিলেন শুধুমাত্র মুসলিম হওয়ার কারণে। তার মুসলিম বিশ্বাস সহকর্মীদের অস্বস্তিকর করে তুলছিলো বলেই নাকি তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিলো প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের রক্ষণশীল সরকারের মন্ত্রী পদ থেকে। এমনটিই অভিযোগ ব্রিটেনের প্রথম এই মুসলিম মহিলা মন্ত্রীর।
৩৯ বছর বয়সী নুসরাত ঘানি বলেন, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে জুনিয়র পরিবহন মন্ত্রী হিসাবে তার চাকরি হারিয়েছিলেন তার মুসলিমতাবাদী আদর্শের জন্য।
তিনি আরও বলেন, ঐ সময় ডাউনিং স্ট্রিটে রদবদলের বৈঠকে মুসলিমতা একটি ইস্যু হিসাবে গণ্য হয়েছিল। সরকারের একজন হুইপ তাকে জানিয়েছিলেন যে তার মুসলিমতা একটি সমস্যা হিসাবে উত্থাপিত হয়েছিল বৈঠকে। তার মুসলিম মহিলা মন্ত্রী পদমর্যাদা নাকি সহকর্মীদের জন্য অস্বস্তিকর পরিবেশ গড়ে তুলছিলো।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কার্যালয় থেকে তার মন্তব্যের তাৎক্ষনিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে সরকারের চিফ হুইপ মার্ক স্পেন্সার বলেছেন যে তিনিই ঘানির অভিযোগের কেন্দ্রে ছিলেন।
তিনি বলেন, এই অভিযোগগুলি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং আমি সেগুলোকে মানহানিকর বলে মনে করি। আমি কখনই এই ধরণের কিছু তাকে বলিনি।
এছাড়াও স্পেন্সার আরও জানান, গত মার্চে প্রথম যখন বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছিলো, তখন নুসরাত ঘানি বিষয়টিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যন্তরীণ তদন্তকার্যে রাখতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
সূত্র: আল-জাজিরা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.
Asian News 24 BD