এশিয়ান ডেস্ক : বহুল প্রতীক্ষার অবসান হলো। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের অষ্টম আসরের ড্রাফট থেকে দল পেলেও ইনজুরির কারণে মাঠে নামা হচ্ছিল না মাশরাফি বিন মুর্তজার। অবশেষ আজ (মঙ্গলবার) নিজ দল মিনিস্টার ঢাকার চতুর্থ ম্যাচের একাদশে মাশরাফির নাম। ২০২০ সালের ১৮ ডিসেম্বর সবশেষ স্বীকৃত ক্রিকেটে খেলেছিলেন মাশরাফি। মাঝে ২০২১ সালে কোনো ম্যাচই খেলা হয়নি তার। ৪০২ দিন পর বিপিএল দিয়ে প্রত্যাবর্তন হলো। তবে এই প্রত্যাবর্তন রাঙাতে পারলেন মাশরাফি, পারল না তার দল ঢাকাও। সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে মাত্র ১০০ রানের পুঁজি পায় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। এ রান টপকাতে একেবারেই বেগ পেতে হয়নি সিলেটের। ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দল। এতে টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে সিলেট।
১০১ রানে জবাব দিতে নেমে দেখেশুনে শুরু করেন সিলেটের দুই ওপেনার লেন্ডন সিমন্স ও আনামুল হক বিজয়। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন ২১ রান যোগ করে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মাশরাফির শিকারে পরিণত হন সিমন্স। ফেরেন ১৬ রান করে। এরপর বিজয়কে সঙ্গ দিয়ে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ মিঠুন। তাদের ৩৮ রানের কার্যকরী পার্টনারশিপে জয়ের ভিত পেয়ে যায় সিলেট।
মিঠুন ১৭ রান করে আউট হলে কলিন ইংগ্রামকে নিয়ে দলের জয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন বিজয়। তবে জয়ের থেকে ২ রান দূরে থাকতে আউট হন ৪৫ রান করে। ৪৫ বলের ইনিংসটি সাজান ৪টি চার ও ১টি ছয়ের মারে। পরে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় সিলেট। যেখানে ইনগ্রাম অপরাজিত থাকেন ২১ রানে। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে ৪ ওভার বল করে ২১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মাশরাফি।
এর আগে টস জিতে প্রতিপক্ষ ঢাকাকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় সিলেট। ইনিংসের শুরুতেই বোলাররা সাফল্য এনে দেন দলকে। পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ২২ রান তুলতেই ৩ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে ঢাকা। মোহাম্মদ শাহজাদ (৭ বলে ৫), তামিম ইকবাল (৫ বলে ৩) সাজঘরে ফেরার পর বিদায় নেন জহরুল ইসলাম (১০ বলে ৪)।
চতুর্থ উইকেটে দলের হাল ধরেন নাঈম শেখ এবং অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ধীরগতির ব্যাটিংয়ে ৪১ বলে দুজন যোগ করেন ৪০ রান। টেস্ট মেজাজে ব্যাট করা নাঈম ৫০ স্ট্রাইক রেটে ৩০ বলে ১৫ রান করে আউট হলে ভাঙ্গে এই জুটি। নাজমুল ইসলাম অপুর একই ওভারে আন্দ্রে রাসেল শূন্য রানে আউট হলে ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বড় সংগ্রহের স্বপ্নে ধাক্কা খায় ঢাকা। যদিও দুটি সিদ্ধান্তই ছিল বিতর্কিত।
পরে ৩টি চারে সাজানো রিয়াদের ২৬ বলে ৩৩ রানের ইনিংস থামলে একশ রানের কোটা ছোঁয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায় ঢাকার সামনে। শেষদিকে শুভাগত হোমের ১৬ বলে ২১ ও রুবেল হোসেনের ৬ বলে ১২ রানের ইনিংসে ৩ অঙ্কের রানের দেখা পায় ঢাকা। ইনিংসের ৮ বল বাকি থাকতে সমান ১০০ রানে অলআউট হয়ে যায় দলটি। সিলেটের হয় অপু এদিন ক্যারিয়ার সেরা ফিগারের দেখা পান, ৪ উইকেট শিকার করেন মাত্র ১৮ রানের দিয়ে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.
Asian News 24 BD