অনলাইন ডেস্কঃ পবিত্র রমজান মাসের আর মাত্র বাকি ১৩ দিন। এরই মধ্যে রাজধানীর খুচরা বাজারে আরও ৮টি পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে।
পণ্যগুলো হচ্ছে- মোটা চাল, খোলা ময়দা, বোতলজাত সয়াবিন তেল, আলু, দেশি রসুন, আদা, অ্যাঙ্কর ডাল ও গুঁড়োদুধ।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াবাজার, মালিবাগ কাঁচাবাজার ও কাওরান বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই বাড়তি দাম লক্ষ করা গেছে। এছাড়া এদিন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক বাজার মূল্য তালিকায়ও এই বৃদ্ধি দেখা গেছে।
টিসিবি বলছে, সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম ২ দশমিক ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। প্রতি কেজি খোলা ময়দা ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ, পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ, প্রতি কেজি আলু ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ, দেশি রসুন ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ, আদা ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ, অ্যাঙ্কর ডাল ৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ ও প্যাকেটজাত গুঁড়োদুধের দাম ১ দশমিক ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে রমজান উপলক্ষ্যে খোলাবাজারে ভর্তুকি মূল্যে ছয়টি পণ্য বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি। সারা দেশে ৫০০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে এই কার্যক্রম চলবে ৬ মে পর্যন্ত। তবে এবার টিসিবির পণ্যেও রমজানের আঁচ পড়েছে। বাড়ানো হয়েছে দাম। টিসিবি গত ১৭ মার্চ থেকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রতি লিটার সয়াবিন ৯০ টাকা দরে বিক্রি করলেও এখন ১০০ টাকায় বিক্রি করছে।
প্রতি কেজি চিনি ও পেঁয়াজের দাম ৫০ ও ১৫ টাকা থাকলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ ও ২০ টাকায়। রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে, রামপুরা বাজার এলাকা, উত্তর বাড্ডা এলাকার বৃহস্পতিবার টিসিবির ট্রাকের সামনে গিয়ে ও ডিলারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একজন ক্রেতা ৫৫ টাকা কেজিদরে সর্বোচ্চ ৪ কেজি চিনি, ৫৫ টাকা কেজিদরে ২ কেজি মসুর ডাল, ১০০ টাকা দরে সর্বোচ্চ ৫ লিটার সয়াবিন তেল এবং ২০ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনতে পারছেন।
সর্বোচ্চ ৩ কেজি ছোলা ৫৫ টাকা কেজি দরে কিনতে পারছেন। তবে রোজা শুরু হলে প্রতি কেজি খেজুর ৮০ টাকায় ক্রয় করতে পারবেন। তবে রাজধানীর প্রতিটি পয়েন্টে টিসিবির বিক্রয় কেন্দ্রের সামনে ভিড় লক্ষ করা গেছে। সকাল থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে ক্রেতাদের পণ্য ক্রয় করতে দেখা গেছে। কাউকেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি।
রাজধানীর খুচরা বাজারে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এদিন প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৫০-৫২ টাকা, সাত দিন আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা।
খোলা ময়দা বিক্রি হয়েছে ৩৮ টাকা, সাত দিন আগে ছিল ৩৬ টাকা। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ৬৫০ টাকা, সাত দিন আগে ছিল ৫৪০ টাকা। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ২০-২২ টাকা, সাত দিন আগে ছিল ১৮-২০ টাকা। প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা, সাত দিন আগে ছিল ৬০ টাকা ।
প্রতি কেজি দেশি আদা বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা, সাত দিন আগে ছিল ১০০ টাকা। প্রতি কেজি অ্যাঙ্কর ডাল বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা, সাত দিন আগে ছিল ৪৫ টাকা। পাশাপাশি প্যাকেটজাত গুঁড়োদুধের মধ্যে প্রতি কেজি ডিপ্লোমা গুঁড়োদুধ বিক্রি হয়েছে ৬৪০ টাকা, সাত দিন আগে ছিল ৬৩০ টাকা।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.
Asian News 24 BD