অনলাইন ডেস্ক :হিমালয়ের এ ভয়াবহতা কি রূপ ধারণ করবে তা এখন ও সাধারন মানুষের বোধগম্য নয়।হিমালয়ের ভারত, চীন, নেপাল ও ভুটানের প্রায় সাড়ে ছয়শো কোটি হিমবাহের ২ হাজার কিলোমিটার অঞ্চলের গত ৪০ বছরের স্যাটেলাইট ছবি পর্যবেক্ষণ করে পরিবেশবিজ্ঞানীরা দেখতে পান, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে ২০০০ সাল থেকে প্রতিবছর দেড় ফুটেরও বেশি বরফ গলেছে।
হিমালয় সংলগ্ন এলাকায় ঘনঘন বন্যা দেখা যাচ্ছে। হিমবাহ গলে কয়েক দশক পর নদী শুকিয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। এতে দেখা দিতে পারে পৃথিবী জুড়ে তীব্র পানি সংকট। এর মূল কারণ হিসেবে বৈশ্বিক উষ্ণতাকেই দায়ী করেছেন গবেষকরা। যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স এডভান্সেস জার্নালের এক প্রবন্ধে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।
এমনকি সব হিমবাহ গলে কয়েক দশক পর সব নদ-নদী শুকিয়ে যাওয়ার মত ঘটনাও ঘটতে পারে। গত ৪ দশকে হিমালয় হিমবাহ পর্বতমালার প্রায় চার ভাগের এক ভাগ বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য গলে গেছে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
এশিয়ায় মূল নদীগুলোর উৎপত্তি হিমালয়ে। এই অঞ্চলগুলোর প্রায় ৮০ কোটি মানুষের জীবনধারা এসব নদীর ওপর নির্ভরশীল। দ্বিগুণ গতিতে হিমবাহ গলতে থাকলে বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, ঘনবসতিপূর্ণ এই অঞ্চলে একসময় তীব্র পানি সংকটের কারণে ভয়ানক বিপর্যয় নেমে আসবে। তাই সময় থাকতেই পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বৈশ্বিক উষ্ণতা যথাসম্ভব কমিয়ে গ্রীন হাউসের পরিমাণ বাড়াতে সতর্ক করেছেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.
Asian News 24 BD