বিনোদন ডেস্ক :অভিনেত্রী আশা চৌধুরীর হলোনা মনের আশা পূরন। আশা চেয়েছিলো সেলিব্রেটি হতে,সে হয়েওছে কিন্তু মৃত্যুর পরে। এমন কোন পত্রিকা বা নিউজ চ্যানেল নেই যে খানে আশার এ চলে যাওয়ার নিউজটি দেওয়া হয়নি। আজ সে সেলিব্রেটি আর তাই খুজছে তাকে অভিনেত্রী আশা চৌধুরী মারা যাওয়ার সাত দিন পর তাঁদের বাসায় ফোন এল। একজন নির্মাতা ফোন দিয়েছিলেন আশাকে তাঁর নাটকের শুটিংয়ের খবর জানাতে। শিডিউল অনুযায়ী চট্টগ্রামে তাঁর পাঁচ দিন শুটিং করার কথা। কিন্তু আশা ফোন ধরছেন না।
বেশ কিছুদিন ধরেই নির্মাতা শাহিন রহমান আশাকে ফোনে পাচ্ছিলেন না। এদিকে ঘনিয়ে আসছিল তাঁর শুটিং শিডিউল। বিটিভির নাটক নির্মাণ করেন, এমন একজন পরিচিত নির্মাতার কাছ থেকে শাহিন রহমান আশার মায়ের নম্বর সংগ্রহ করেন। পরে ফোন দেন আশাদের বাড়িতে। সেই ফোন ধরেন আশার মা পারভিন আক্তার। নির্মাতা ফোনে আশাকে চাইলে কিছু সময়ের জন্য বাক্রুদ্ধ হয়ে গেলেন আশার মা। চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ল। পরে তিনি মেয়ের মৃত্যুর খবর দেন নির্মাতাকে।
আশার মা জানান, ওই পরিচালক আশার মৃত্যুর খবর জানতেন না। তিনি আশার মৃত্যুর খবর শুনে দুঃখ প্রকাশ করেন। আশার মা ও তাঁর তিন বোন তখন বাড়িতে ছিলেন। তাঁরাও বোনের শুটিংয়ের কথা শুনে কান্না করতে থাকেন।শুটিংয়ের সময় আশার তিন বোন আশার ব্যাগ গোছানো থেকে শুরু করে পানির বোতল—সবকিছু সঙ্গে দিতেন। এমনকি আশাকে কোন পোশাক পরলে মানাবে, বেশি সুন্দর দেখাবে, সেটাও ঠিক করে দিতেন বোনেরা।আশা মারা যাওয়ার পর বোনেরা আশার ব্যবহৃত সবকিছু গুছিয়ে রেখেছেন। পারভিন আক্তার বলেন, ‘পরিচালকেরা আগেই আমার মেয়ের ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন। চার-পাঁচ দিন ধরে তাঁরা আশার নম্বরে ফোন দিচ্ছিলেন। সেদিন সড়ক দুর্ঘটনায় আশার ফোন ভেঙে গেছে। সেই থেকে আশার নম্বরটি বন্ধ। মেয়েটা বেঁচে থাকলে আজ শুটিং করতে পারত।’
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের জন্য দুটি নাটক শুটিং শুরু হওয়ার কথা আগামী ১৫ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। শুটিংয়ের লোকেশন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার। গতকাল নির্মাতা শাহিন রহমান শুটিংয়ের কল টাইম, চিত্রনাট্য ও কী ধরনের পোশাক লাগবে, সেগুলো জানানোর জন্য আশাকে ফোন দিয়েছিলেন। নির্মাতা শাহিন রহমান বলেন, আশার সঙ্গে আগে কোনো নাটকের কাজ হয়নি। গত মাসে তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল। সে সময়ই তাঁদের মধ্যে একবার শিডিউল নিয়ে কথা হয়। তিনি ঠিকমতো আশাকে চিনতেন না। এক বন্ধু জানিয়েছিলেন নতুনদের মধ্যে আশা বেশ সম্ভাবনাময় অভিনেত্রী।
চার বোনের মধ্যে আশা চৌধুরী সবার বড়। রাজধানীর বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজিতে (বিইউবিটি) আইন বিভাগে পড়াশোনা করতেন তিনি। প্রায় চার বছর আগে তিনি অভিনয়জগতে আসেন। নাটকে অভিনয় ও অনুষ্ঠান উপস্থাপনা ছাড়াও তিনি বিজ্ঞাপন ও গানের মডেল হয়েছেন। চেয়েছিলেন অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নেবেন। আশার স্বপ্ন ছিল প্রধান চরিত্রে অভিনয় করবেন। মারা যাওয়ার দুই দিন আগে ২ জানুয়ারি ‘দ্য রিভেঞ্জ’ নামের একটি নাটকের মধ্য দিয়ে আশার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.
Asian News 24 BD