বিনোদন ডেস্ক : বলিউড সেনসেশন মাধুরী দীক্ষিতের ‘ভুলভুলাইয়া ৩’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। ‘আমি যে তোমার’ গানের তালে তালে তার নাচ দেখে বহু সিনেমাপ্রেমীর হৃদয়ে দোলা দিয়েছেন তিনি। বহু চেষ্টা করেও যেখানে বয়সের চাকা আটকানো সহজ নয়, সেখানে এ বয়সেও বহু পুরুষের হৃদয়ে ঝড় তোলেন মাধুরী দীক্ষিত। নিজের রূপচর্চার সেই রহস্য নিজেই ফাঁস করলেন এ অভিনেত্রী।
চলতি বছরের মে মাসে ৫৭ বছরে পা দিয়েছেন মাধুরী দীক্ষিত। অথচ অভিনেত্রীকে দেখে বোঝা অসম্ভব যে, তিনি পঞ্চাশের কোঠা পেরিয়েছেন। মসৃণ ত্বকের কোথাও এতটুকু বয়সের ছাপ পড়েনি তার।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলিউড মাধুরী দীক্ষিত জানিয়েছেন, কীভাবে ঘরোয়া উপকরণ দিয়েই রূপচর্চা করেন নায়িকা। মাধুরী বলেন, এমন অনেক দিন থাকে যেদিন ত্বক বড়ই জেল্লাহীন দেখায়, চোখের তলায় ধরা পড়ে ক্লান্তির ছাপ। সেই সময় ত্বকে চটজলদি জেল্লা আনতে চাই দুধ আর শসা।
শসাগুলো গোল আকারে পাতলা করে কেটে নিন। এবার শসার টুকরোগুলো দুধের মধ্যে ডুবিয়ে রাখুন। শসাসমেত এবার দুধের পাত্রটি ফ্রিজে রাখুন। ঘণ্টাখানেক পর শসার টুকরোগুলো মুখে ঘষে নিন ভালো করে।
আপনি কীভাবে দুধ আর শসার এ ফেসপ্যাক তৈরি করবেন, তা জেনে নিন।
শসায় ৯৬ শতাংশ পানি থাকে। তা বেটে মুখে মেখে রাখা গেলে সেই পানির প্রভাবে তুলতুলে হয়ে ওঠে ত্বক। শসার রসে উপস্থিত ভিটামিন ও মিনারেল ত্বকের ভেতরের আর্দ্র ভাবও বজায় রাখতে সাহায্য করে। মসৃণ দেখায় মুখ। চেহারায় জেল্লা ফেরে। নিয়মিত শসার রস ত্বকে মাখলে তেলতেলে ভাব কমে। মুখও পরিষ্কার থাকে।
অন্যদিকে প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসাবে দুধ দারুণ কাজ করে। দুধে ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন থাকে, যা ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। দুধ ভীষণ ভালো ময়েশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে। এটি ত্বকের গভীরে ঢুকে আর্দ্রতা ধরে রাখে।
শুষ্ক ত্বকের জন্য হেঁশেলের এই উপাদানটি দারুণ উপকারী। দুধে ল্যাকটিক অ্যাসিড ভালো মাত্রায় থাকে। এই উপাদানটি ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যায় যারা প্রায়ই ভোগেন, তারাও ত্বকে কাঁচা দুধ ব্যবহার করতে পারেন। কাঁচা দুধে বিটা হাইড্রক্সি অ্যাসিড থাকে। এই উপাদানটি ত্বকের মৃতকোষগুলো দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকে কাঁচা দুধ মাখলে কোলাজেন উৎপাদনের হার বেড়ে যায়। ফলে নতুন কোষ গঠন হয়। তাই কাঁচা দুধ ত্বকে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতেও সাহায্য করে। দুধে উপস্থিত ভিটামিন ডি ত্বককে মসৃণ ও টানটান রাখে।