নিউজ ডেস্ক : শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় ধার দেওয়া ২০০ টাকা ফেরত না দেওয়ায় বন্ধুর বিরুদ্ধে এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত মারুফ সরদার (১৯) চরধীপুর গ্রামের শহিদুল সরদারের ছেলে। তিনি ঢাকার মধ্যবাড্ডায় ফলের ব্যবসা করতেন। ব্যবসার সুবাদে ওই এলাকায় থাকতেন।
ঈদের পরদিন রোববার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার চরধীপুর গ্রামে বন্ধু রিফাতের ছুরিকাঘাকাতে আহত হন তিনি। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন মারুফকে তিন দিন পর বুধবার সকালে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার দিন রোববার নিহত মারুফের বড় বোন পাপিয়া গোসাইরহাট থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে চরধীপুর গ্রামের বাড়ি গেলে মারুফ সরদারের বন্ধু একই বাড়ির রিফাতের (২০) সঙ্গে দেখা হয়। এ সময় মারুফের কাছে পাওনা ২০০ টাকা ফেরত চায় রিফাত। জবাবে মারুফ বলে- আজকে নাই পরে দিয়ে দিমু।
এ সময় রিফাত ধারের ২০০ টাকা ফেরত না দেওয়ার কারণ জানতে চান। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তুমুল বাগবিতণ্ডা হয়। পরে মারুফকে মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখায় রিফাত ও তার লোকজন। মারুফ ভয়ে দৌড়ে নিজের ঘরে ঢুকে পড়ে। তখন রিফাত তাকে মারার জন্য ঘরে ঢুকে মারুফকে ছুরিকাঘাত করে। এতে তার পেটের ভেতর থেকে নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। মারুফের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে রিফাত দৌড়ে পালিয়ে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিন দিন পর বুধবার সকালে চিকিৎসক মারুফকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মারুফের বড় বোন পাপিয়া আক্তার বলেন, আমার ভাই মারুফের কাছে ২০০ টাকা পায় রিফাত। ঈদের পরদিন বিকালে মারুফ ঘুরতে বের হওয়ার সময় তাকে পথে আটকায় বন্ধু রিফাত। মারুফ ২-১ দিন পর টাকা দিতে চাইলে রিফাত তা নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে মারুফকে মারপিট শুরু করে।
গোসাইরহাট থানার এসআই মফিজ বলেন, ধারের টাকা ফেরত না দেওয়ায় ছুরি বসিয়ে দিয়ে পালিয়েছে রিফাত। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিন দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে মারা যান মারুফ। রিফাতকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। ঢাকার শাহাবাগ থানা পুলিশ লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।