1. [email protected] : Masumasian :
  2. [email protected] : Masum Talukdar : Masum Talukdar
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩২ অপরাহ্ন

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের ধারক বিয়ের ‘পালকি’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট এর সময় : শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৯ বার পঠিত হয়েছে

নুরুল আমিন হেলালী : আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় যানবাহনের যুগে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের ধারক-বাহক বিয়ের ‘পালকি’। গ্রামবাংলার সেই চিরচেনা ঐতিহ্যের পালকি এখন আর দেখা যায়না। এক সময় গ্রামের বিয়েগুলোতে বর-বধুকে বরণের অন্যতম বাহন ছিল পালকি। বাংলার সবুজ শ্যামল মেঠো পথের নিত্যদিনের বাহন ছিল এ পালকি। পালকিতে চড়া গ্রাম্যনবুর সঙ্গে মিশে বুকভরা মধুমাখা স্বপ্ন।

গায়ের পথে পালকি করে নব-বধুকে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখার জন্য গ্রামের ছোট বড় ছেলে-মেয়েরা রাস্তায় এসে ভিড় করতো আর বাড়ির বৌ-ঝিয়েরা বাড়ির ভিতর থেকে উঁকি-ঝুকি মারতো। পালকির মধ্যে বসা নবরুপে সাজানো বৌ-কে দেখে তারাও হারিয়ে যেত কল্পনার রাজ্যে। চার বেয়ারা পালকি কাধে নিয়ে ছন্দ তুলে বৌকে নিয়ে বাংলার শ্যামল মেঠো পথেদিয়ে দুলতে দুলতে চলে আসত বরের বাড়ি। তখন গ্রাম বাংলার প্রাকৃতির সৌন্দর্য্যে সাথে মিশে যেত নতুন বউয়ের সংসার সাজানোর স্বপ্ন। সাজানো-গোছানো পালকি করে আগে কার দিনে নববধু বরের বাড়ি যেত। এ যুগের বধুরা আর পালকিতে লজ্জা রাঙা মুখে শ্বশুর বাড়ি যায়না। সেই শ্যামল বাংলা, সেই মেঠো পথ, নতুন বধু সবই আছে কিন্তু যান্ত্রিক যুগে শুধু নেই কেবলমাত্র পালকি। পালকির ব্যবহার কিভাবে কখন এদেশে শুরু হয়েছিল তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। ফেলে আসা দিনে পালকি অভিজাত শ্রেণীর বাহন হিসেবে গন্য করা হতো। পালকি দেখতে অনেকটা কাঠের বােরে কাঠামো। দৈর্ঘ্য ৬ ফুট প্রস্থে তার অর্ধেক কাঠামোটি লম্বা দু’পাশে বাঁশের সাহায্যে গাঁথা। পালকির উপরে দামী লার কাপড়ের ঝলক দ্বারা মোড়ানো থাকত।

অন্যান্য কাজে পালকি ব্যবহার না হলেও বিয়ে-সাদিতে পালকির ব্যবহার ছিল অপরিহার্য। নববধুকে নিয়ে বেয়ারারা নানা সুখ-দুুঃখের গান গেয়ে দুলকি তালে চলত পালকি। বিবর্তনের ধারায় সব কিছুর পরিবর্তন ঘটেছে। ফলে বর্তমান সময়ে পালকি ও বেয়ারার দেখা নেই। বর্তমান যুগের নববধুরা পালকিতে চড়ে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার স্বপ্ন দেখেনা। তারা চাকচিক্য ভাবে সাজানো প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসে চড়ে শ্বশুর বাড়িতে যায়।

কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদের বাঁশঘাটা নামক স্থানে একটি ছোট্ট এলাকায় আগেকার দিনে পালকির বেয়ারাদের বসবাস ছিল। এখন তারা পেশা বদল করে দিনাতিপাত করছেন। গ্রামের বিয়ে বাড়ীর অন্যতম বাহন ছিল পালকি। আগে থেকে ভাড়া করে রাখা হতো পালকি ও বেয়ারা দেরকে এমনটিই জানান বয়োবৃদ্ধ এক বেয়ারা। দিন বদলের যুগে পালকি কোথাও এখন আর দেখা যায়না। বর্তমানে পালকির প্রচলন না থাকায় এ পেশার সাথে জড়িতরা জীবন-জীবিকার তাগিদে অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন। শুধু তাই নই আধুনিক যুগের চাকচিক্যের পরিক্রমায আর দেখা মেলেনা সামনে নববধু বাহিত গ্রামীণ পালকির পেছনে সারিবদ্ধ বরযাত্রী।

দয়া করে পোস্টটি আপনার স্যোসাল মিডিয়া শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2019 LatestNews
Theme Customized BY LatestNews