নুরুল আমিন হেলালী : আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় যানবাহনের যুগে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের ধারক-বাহক বিয়ের ‘পালকি’। গ্রামবাংলার সেই চিরচেনা ঐতিহ্যের পালকি এখন আর দেখা যায়না। এক সময় গ্রামের বিয়েগুলোতে বর-বধুকে বরণের অন্যতম বাহন ছিল পালকি। বাংলার সবুজ শ্যামল মেঠো পথের নিত্যদিনের বাহন ছিল এ পালকি। পালকিতে চড়া গ্রাম্যনবুর সঙ্গে মিশে বুকভরা মধুমাখা স্বপ্ন।
অন্যান্য কাজে পালকি ব্যবহার না হলেও বিয়ে-সাদিতে পালকির ব্যবহার ছিল অপরিহার্য। নববধুকে নিয়ে বেয়ারারা নানা সুখ-দুুঃখের গান গেয়ে দুলকি তালে চলত পালকি। বিবর্তনের ধারায় সব কিছুর পরিবর্তন ঘটেছে। ফলে বর্তমান সময়ে পালকি ও বেয়ারার দেখা নেই। বর্তমান যুগের নববধুরা পালকিতে চড়ে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার স্বপ্ন দেখেনা। তারা চাকচিক্য ভাবে সাজানো প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসে চড়ে শ্বশুর বাড়িতে যায়।
কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদের বাঁশঘাটা নামক স্থানে একটি ছোট্ট এলাকায় আগেকার দিনে পালকির বেয়ারাদের বসবাস ছিল। এখন তারা পেশা বদল করে দিনাতিপাত করছেন। গ্রামের বিয়ে বাড়ীর অন্যতম বাহন ছিল পালকি। আগে থেকে ভাড়া করে রাখা হতো পালকি ও বেয়ারা দেরকে এমনটিই জানান বয়োবৃদ্ধ এক বেয়ারা। দিন বদলের যুগে পালকি কোথাও এখন আর দেখা যায়না। বর্তমানে পালকির প্রচলন না থাকায় এ পেশার সাথে জড়িতরা জীবন-জীবিকার তাগিদে অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন। শুধু তাই নই আধুনিক যুগের চাকচিক্যের পরিক্রমায আর দেখা মেলেনা সামনে নববধু বাহিত গ্রামীণ পালকির পেছনে সারিবদ্ধ বরযাত্রী।