বিনোদন ডেস্ক : ভারতীয় টেলিভিশন, সিনেমা ও মডেল অভিনেত্রী গৌতমী কাপুর। তিনি স্টার প্লাসের ধারাবাহিক কেহতা হ্যায় দিল-এ জয়ার ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিত মুখ। এ ছাড়া তিনি টিভি নাটক ঘর এক মন্দির এবং সম্প্রতি সনি টিভিতে পরভারিশ সিজন ২-এ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তিনি মারাঠি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেন।
সম্প্রতি এ অভিনেত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, নারীদের জীবনে হয়তো এমন একটিও দিন নেই, যেদিন রাস্তাঘাটে, বাসে কিংবা ভিড়ের মাঝে তাদের হয়রানির মুখে পড়তে হয়নি। বয়স, পোশাক—কোনো কিছুর সঙ্গেই এর যোগ নেই বলে জানান গৌতমী কাপুর।
আজ তিনি অভিনয়ের সফলতার পাশাপাশি সাহস আর আত্মবিশ্বাসের প্রতীকও বটে। নিজের শৈশবের সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা শেয়ার করে অভিনেত্রী যেন সব মেয়ের উদ্দেশে এক শক্তির বার্তা দিলেন— হয়রানি সহ্য নয়, প্রতিরোধই একমাত্র উত্তর।
এমনই এক ভয়ঙ্কর যৌন হেনস্তার স্মৃতির কথা শেয়ার করলেন অভিনেত্রী গৌতমী কাপুর। ‘স্পেশ্যাল অপস’-এর তৃতীয় সিজনের সাফল্যে এখন ক্যারিয়ারের শিখরে অভিনেত্রী। তবু স্কুলজীবনের সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি আজও রয়ে গেছে তার বুকে—অবচেতনের এক গভীর, না মোছা দাগ হয়ে।
গৌতমী বলেন, আমি তখন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। একদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে বাসে দাঁড়িয়ে আছি। হঠাৎ পেছন থেকে এক লোক আমার প্যান্টের ভেতরে হাত ঢুকিয়ে দিল। আমি এতটাই ছোট ছিলাম, কয়েক মিনিট লেগে গেল বুঝতে— আসলে কী হয়েছে। তিনি বলেন, ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে নেমে পড়ি বাস থেকে। মাথায় তখন শুধু একটা চিন্তা— ওই লোকটা কি আমার পেছন পেছন চলে আসবে না তো?
অভিনেত্রী বলেন, ভয়টা শুধু ওই নোংরা লোকের জন্য নয়, বাড়িতে মায়ের প্রতিক্রিয়া নিয়েও ছিল আতঙ্ক। তিনি বলেন, ভাবছিলাম মা রাগ করবে কিনা, কিন্তু মা আমার মুখের ভাব দেখেই জিজ্ঞেস করল— কী হয়েছে। তখন সব খুলে বললাম। শুনে মা বলল—ওই মুহূর্তে ঘুরে দাঁড়িয়ে এক চড় মারতে হবে।
গৌতমীর মায়ের শেখানো লড়াইয়ের মন্ত্র স্পষ্ট—মেয়ে হয়েছে তো কী? এ রকম পরিস্থিতিতে কখনো চুপ থাকবে না। হাত চেপে ধর, জোরে চিৎকার কর। প্রয়োজনে পেপার স্প্রে ব্যবহার কর, না হলে জুতা দিয়েও মারো।
এর আগেও গৌতমীর ঠাকুমা এক ট্রলকে সপাটে জবাব দিয়েছিলেন— যখন সে মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতার জন্য বিকিনি পরা নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছিল।