অনলাইন ডেস্ক – পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল চত্বরে লাল চাঁদ সোহাগ (৩৯) নামের এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নান্নুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (১২ জুলাই) গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের নান্নু কাজীর মামা বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব -১১। গ্রেফতার নান্নু কাজী আব্দুল কাদের কাজীর ছেলে বলে জানা গেছে।
নান্নুকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী।
আজ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) র্যাব -১১ এর মিডিয়া উইং জানিয়েছে, নান্নু কাজীকে র্যাব -১০ এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত বুধবার হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। হত্যার আগে সোহাগকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে এবং ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করা হয়। তার শরীরের ওপর উঠে লাফান কেউ কেউ।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে পুরান ঢাকার কয়েক যুবক সোহাগকে বুধবার দুপুরে ডেকে নেয়। সন্ধ্যায় তাকে হত্যা করা হয়। সোহাগ পুরোনো তামার তার ও অ্যালুমিনিয়াম শিটসহ ভাঙারি জিনিসের ব্যবসা করতেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, সোহাগ একসময় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে। তার ১৪ বছর বয়সি মেয়ে সোহানা ষষ্ঠ শ্রেণিতে এবং ১১ বছর বয়সি ছেলে সোহান চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে।
সোহাগকে হত্যার ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় গত বৃহস্পতিবার একটি মামলা হয়েছে। নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম (৪২) মামলাটি করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১৫-২০ জনকে।