স্পোর্টস ডেস্ক : চিটাগাং কিংসেই বিপিএল খেলবেন সাকিব। নতুন মালিকানা ও নামে আবার বিপিএল খেলতে আসা চিটাগাং কিংসের সরাসরি চুক্তি করা ক্রিকেটার হলেন সাকিব আল হাসান। রোববার রাতে বিসিবির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি পরিষ্কার হয়।
সোমবার বিপিএল প্লেয়ার্স ড্রাফটের পর হোটেল সোনারগাঁওয়ের বলরুমে হলভর্তি সাংবাদিকের সামনে চিটাগাং কিংসের স্বত্বাধিকারী সামির কাদের চৌধুরী জানিয়েছেন, তারা আগে জেনে নিয়েছেন সাকিব সত্যিই খেলতে পারবেন কিনা। সব জেনেবুঝে এবং সব দিক থেকে নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই তারা সাকিবকে দলে ভিড়িয়েছেন।
সামির কাদের চৌধুরী বলেন, সাকিবের ব্যাপারে ক্লিয়ারেন্স আমরা পেয়েছি। যখন ক্লিয়ারেন্স পেয়েছি যে সে খেলতে পারবে বাংলাদেশে, তখন আমরা চুক্তি করেছি। এছাড়া আমরা রংপুরের সঙ্গেও আলাপ করেছি সাকিবের সঙ্গে তাদের কোনো চুক্তির ঝামেলা আছে কিনা। সেখান থেকেও আমরা ক্লিয়ারেন্স পেয়েই চুক্তি করেছি। আশা করি তার খেলা নিয়ে সমস্যা হবে না।
সাকিবের সমসাময়িক অনেকেই বিপিএল প্লেয়ার্স ড্রাফটে সশরীরে অংশ নিয়েছেন। ফরচুন বরিশালের টেবিলে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তিনজনই ছিলেন। রংপুরের টেবিলে নুরুল হাসান সোহানকেও দেখা গেছে। এছাড়া খুলনা টাইগার্সের টেবিলে মেহেদি হাসান মিরাজও ছিলেন বেশ সক্রিয়।
কিন্তু চট্টগ্রামের টেবিলে সাকিব আল হাসান ছিলেন না। যেহেতু তিনি দেশেই নেই, তাই তার প্লেয়ার্স ড্রাফটে সশরীরে থাকার কথাও না। তবে সাকিব কি চিটাগাং কিংসের দল গঠনে কোনো মত দিয়েছেন? কিংবা দল সাজানোয় সাকিবের কোনো ভূমিকা ছিল কি?
এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে চিটাগাং কিংস ফ্র্যাঞ্চাইজি সামির কাদের চৌধুরী জানান, সাকিবের ইনপুট ছিল। সাকিবের পরামর্শও নিয়েছেন তারা।
সামির বলেন, সে দেশের বাইরে থাকায় নিলামে নেই। তবে চুক্তির পর নিলাম নিয়ে কিছু পরামর্শ সে ইনপুট দিয়েছে। আমরাও তার পরামর্শ নিলামে ইনপুট দিয়েছি। সবার সম্মিলিত পরিকল্পনায় আমরা দল সাজাতে পেরেছি। প্রত্যাশা মতো সবাইকে পেয়েছি। চট্টগ্রাম ১০ বছর ধরে অংশ নিচ্ছে। খুব আগ্রহ নিয়ে এবারও আছি। আশাকরি সবার আশা পূরণ করতে পারব।