1. [email protected] : Masumasian :
  2. [email protected] : Masum Talukdar : Masum Talukdar
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশষ সংবাদ:
পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে তৈরি বস্ত্রের প্রসারে কাজ করতে হবে – উপদেষ্টা সৈয়দা পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধির সাক্ষাৎ বর্ষসেরার খেতাব পেল গাজার দুই হাত হারানো বালকের ছবি ওয়াকফ বিল পাস ও মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ দাবি আদায়ে কারিগরি শিক্ষার্থীদের ‘কাফন মিছিল’ ৯ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস ছয় দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা বাংলাদেশকে জড়ানোর চেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ,সংখ্যালঘু মুসলিমদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ২৭ এপ্রিল দুদিনের সফরে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

শীতকালে চোখের অ্যালার্জি বাড়ার কারণ ও প্রতিকার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট এর সময় : সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৫ বার পঠিত হয়েছে
অ্যালার্জি

নিউজ ডেস্ক : শীতকালে চোখের অ্যালার্জি বাড়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ দায়ী। এই সময়ে বাতাসে ধূলিকণা, পোলেন, পোষ্যদের লোম, ছাঁচের স্পোর এবং অন্যান্য অ্যালার্জেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, যা চোখের অ্যালার্জি বা অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণগুলিকে তীব্র করে তোলে।

এছাড়াও শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যাওয়া এবং ঘরের ভেতর বেশি সময় কাটানোর ফলে ইনডোর অ্যালার্জেনের সংস্পর্শও বেড়ে যায়।

নিচে শীতকালে চোখের অ্যালার্জি বাড়ার প্রধান কারণগুলি হলো-

১. ধূলিকণা ও পোলেনের প্রভাব
শীতকালে বাতাসে ধূলিকণা এবং পোলেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, যা চোখের সংস্পর্শে এলে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এই অ্যালার্জেনগুলি চোখের কনজাংটিভাকে উত্তেজিত করে, যার ফলে চুলকানি, লালভাব এবং জল পড়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়।

২. পোষ্যদের লোম ও খুশকি
শীতকালে পোষ্যদের লোম ঝরার পরিমাণ বেড়ে যায়, যা অ্যালার্জির একটি সাধারণ ট্রিগার। পোষ্যদের লোম এবং খুশকি বাতাসে মিশে চোখে প্রবেশ করলে অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

৩. ছাঁচের স্পোর
স্যাঁতসেঁতে এবং আর্দ্র পরিবেশে ছাঁচের স্পোর জন্মায়, যা শীতকালে ঘরের ভেতর বেশি দেখা যায়। এই ছাঁচের স্পোর চোখের অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।

৪. ইনডোর হিটিং ও শুষ্ক বাতাস
শীতকালে ঘরের ভেতর হিটার ব্যবহারের ফলে বাতাস শুষ্ক হয়ে যায়, যা চোখের আর্দ্রতা কমিয়ে ড্রাই আই সিন্ড্রোমের সম্ভাবনা বাড়ায়। শুষ্ক বাতাস চোখের জ্বালা এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করে, যা অ্যালার্জির লক্ষণগুলিকে তীব্র করে।

৫. বদ্ধ পরিবেশ ও বায়ু চলাচলের অভাব
শীতকালে দরজা-জানালা বন্ধ রাখার ফলে ঘরের ভেতর বায়ু চলাচল কমে যায়। এই বদ্ধ পরিবেশে অ্যালার্জেনগুলি জমে থাকে এবং চোখের সংস্পর্শে এলে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

৬. ধোঁয়া ও দূষণ
শীতকালে আগুনের ধারে দাঁড়ানো বা কাঠ পোড়ানোর ধোঁয়া চোখের সংস্পর্শে এলে জ্বালা এবং লালভাব সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও বাইরের ধোঁয়া ও দূষণও চোখের অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।

৭. শীতের পোশাক থেকে অ্যালার্জি
উল বা শীতের পোশাক থেকে অ্যালার্জি হতে পারে, যা প্রথমে ত্বকে দেখা দিলেও পরে চোখে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা
শীতকালে চোখের অ্যালার্জি থেকে রক্ষা পেতে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে:

ঘর পরিষ্কার রাখা এবং ধূলিকণা মুক্ত রাখা।

হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করে ঘরের আর্দ্রতা বজায় রাখা।

পোষ্যদের শোবার ঘরের বাইরে রাখা।

বাইরে বের হলে সানগ্লাস ব্যবহার করা।

চোখের ড্রপ বা কৃত্রিম অশ্রু ব্যবহার করে চোখের আর্দ্রতা বজায় রাখা।

শীতকালে চোখের অ্যালার্জি একটি সাধারণ সমস্যা, তবে সঠিক পরিচালনা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এর প্রভাব কমানো সম্ভব। যদি লক্ষণগুলি গুরুতর হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

দয়া করে পোস্টটি আপনার স্যোসাল মিডিয়া শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2019 LatestNews
Theme Customized BY LatestNews