বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ করার বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি বিএনপি।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ৭ নেতার সঙ্গে বৈঠকে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির কয়েকজন নেতা। বৈঠক শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আমাদের সব কথা শুনেছে বিএনপি। তারা জানিয়েছে আমাদের বার্তা নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করবে, তারপর তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে।
তিনি বলেন, এখন ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থার পূর্ণাঙ্গ বিলোপের ক্ষেত্রে আমাদের সামনে বাধা হিসেবে দাঁড়িয়েছে চুপ্পু (রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন) অপসারণ এবং আমাদের যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। এগুলো নিয়ে আপনারা জানেন আমরা গত দুই দিন ধরে আমাদের দেশের প্রমিনেন্ট যে রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে যারা গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছে তাদের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছি। তারই অংশ হিসেবে আজকে আমরা বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে হাসনাত বলেন, রাষ্ট্রপতি অপসারণ ইস্যুতে জামায়াতের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে, জামায়াত আমাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে।
তিনি বলেন, একই ইস্যুতে আমরা ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গেও বৈঠক করেছি। নৈতিকতার জায়গা থেকে ইসলামী আন্দোলনও রাষ্ট্রপতির অপসারণ চায়।
তিনি জানান, আগামীকাল গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট ও গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তারা।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব ছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ ও যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উম্মা ফাতেমা, সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়োরি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসুদ ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিনসহ ৭ নেতা উপস্থিত ছিলেন।
নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারি বলেন, ‘চুপ্পু মাস্ট বি গন। আমরা টাইম ফ্রেম বেঁধে দিচ্ছি না।’
বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি।