বিনোদন ডেস্ক : গেল ঈদে মুক্তি পাওয়া শাকিব খান অভিনীত ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘বরবাদ’ বক্স অফিসে ব্যাপক সাড়া ফেলে। দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে দর্শকের দীর্ঘ লাইন, আয় করে প্রায় ৭৫ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ছবিটি হয়ে ওঠে আলোচিত।
তবে সিনেমার এই সাফল্যের ছায়ায় এবার উঠেছে বিতর্ক। অভিনেত্রী দিলরুবা দোয়েল অভিযোগ তুলেছেন, সিনেমাটির নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয় তার ডাবিং পারিশ্রমিক পরিশোধ করেননি।
‘বরবাদ’ সিনেমায় অভিনয় না করলেও ইধিকা পালের কিছু অংশের ডাবিং করেছেন দোয়েল। এই ডাবিংয়ের পারিশ্রমিক দেননি পরিচালক, এমনটা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী নিজেই।
দিলরুরা দোয়েল বলেন, ‘আমাকে হৃদয় ভাই তার সহকারীকে দিয়ে ফোন করিয়ে বলেছিলেন ইমার্জেন্সি ইধিকা পালের চরিত্রের ডাবিংটা একটু করে দিতে হবে। না হলে তারা নাকি সেন্সর করাতে পারছিলেন না। আমি বলছিলাম স্পট পেমেন্ট করতে। এরপর আমি ডাবিং করলেও পয়সা পাইনি। ডাবিং করার পর আমি কয়েকবার ফোন করেছি পরিচালককে, তিনি আমার ফোন ধরেননি।’
দোয়েল আরো বলেন, ‘টাকাটা কোনো ইস্যু না, কিন্তু প্রেস্টিজটা তো থাকল না। উনারা এত বড় ছবি বানায়, এত গলাবাজি করে, তাহলে উনারাই অভিনয়, নির্মাণ ডাবিং সবকিছু করুক। আমাদের দরকার কী? সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে হৃদয়ের এডিরা এমন আচরণ করেছেন মনে হয় ওরা একেকজন হলিউড থেকে আসছে। এরাই নাকি আবার বাজার লিড করছে। আমার আসলে হাসি পায়। উনারা যেহেতু বড় ডিরেক্টর নিজেকে ভাবছে, ২০-২৫ কোটি টাকা দিয়ে সিনেমা বানাচ্ছে, কিন্তু উনারা দেশের শিল্পীদের পয়সা দিতে পারবে না। আবার রাত ১২টায় ফোন করে বলতে পারবে তাদের কাজটা করে দিতেই হবে।’
এ বিষয়ে মেহেদী হাসান হৃদয় বলেন, ‘আমি জানতামই না যে, এই রকম একটা আর্টিস্টের পেমেন্ট আটকে আছে। আর উনি যদি আমাকে ফোন দিয়ে থাকেন, আসলে অনেক সময় অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন আসলে ধরা হয় না। উনার নাম্বার আমার কাছে নাই। হয়তো ব্যস্ততার জন্য ফোন ধরা হয়নি। উনি যদি একটা টেক্সট করে রাখতেন তাহলে হয়তো কথা বলতাম। আর উনার সঙ্গে আমি কনটাক্ট করিনি।’
এই নির্মাতা আরো বলেন, ‘ওই ভদ্রমহিলার সঙ্গে আমার এ বিষয়ে কথা হয়নি। আর এই সিনেমায় আমার এডি ছিল বাংলাদেশ থেকে আজাদ ভাই। আর বাকি এডিরা সবাই ইন্ডিয়ান। আমি এসব বিষয়ে কিছুই জানি না।’