নিউজ ডেস্ক : অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে শুক্রবার (১৩ জুন) গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, নির্বাচন ও ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে চলমান টানাপোড়েনের প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক রাজনৈতিক গতিপথ নির্ধারণ করতে পারে- এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সংগ্রামী মহাসচিব ও শরীয়তপুর-১ আসনের (পালং-জাজিরা) সম্ভাব্য সংসদসদস্য প্রার্থী মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে একটি বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা মনে করি, এই বৈঠক বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) শরীয়তপুর সদরের বিভিন্ন অঞ্চলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত টানা গণসংযোগে অংশ নিয়ে জালালুদ্দীন এসব কথা বলেন।
দলটির জেলা সভাপতি মাওলানা শাব্বির আহমদসহ জেলা ও স্থানীয় নেতারা তার সফরসঙ্গী ছিলেন। গণসংযোগকালে পথসভা ও স্থানীয় সমাবেশে বক্তব্য দেন মাওলানা জালালুদ্দীন।
তিনি বলেন, ‘দেশ আজ আবারও একটি চরম সংকটে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দুঃশাসনের পুনর্বাসনের চক্রান্ত চলছে। যেনতেন নির্বাচন, পেশিশক্তির প্রভাব, প্রশাসনে দলীয় আনুগত্য— এসবের বিরুদ্ধে একটি কার্যকর রাজনৈতিক ঐক্য ছাড়া মুক্তির পথ নেই।’
মাওলানা জালালুদ্দীন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘লন্ডনের সম্ভাব্য ওই বৈঠকে যদি শেখ হাসিনা ও তার দুঃশাসনের দায় থেকে জাতিকে মুক্ত করার জন্য একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা নির্ধারিত হয়, যদি রাজনৈতিক সংস্কার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের রূপরেখায় ঐকমত্য হয়- তবে দেশের ভবিষ্যতের জন্য তা হবে আশার আলো।’
তিনি বলেন, ‘পেশিশক্তি, দুর্বৃত্ত, সন্ত্রাসী, অস্ত্রবাজ, চাঁদাবাজ ও নির্বাচনবিরোধী গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে সমূলে নির্মূল করতে না পারলে এ দেশে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
মাওলানা জালালুদ্দীন দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে ইসলামপন্থিদের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস হচ্ছে সেই বলিষ্ঠ রাজনৈতিক শক্তি, যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার এবং জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সত্যিকারের দেশপ্রেমিক, আল্লাহ ভীরু ও দায়িত্ববান নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা ছাড়া জাতির মুক্তি নেই।’
ইসলামপন্থি ও দেশপ্রেমিক সব রাজনৈতিক শক্তির প্রতি ঐক্যবদ্ধ রূপরেখা ও আন্দোলনের আহ্বান জানান তিনি।