অনলাইন ডেস্ক – সার্বিকভাবে শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে দেহের পেছন দিক। আর সেখানেই যদি ব্যথা শুরু হয় তবে অনেক কাজ করা দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। নিউইয়র্কের ‘ট্রু হোল কেয়ার’য়ের কর্ণধার ও কারিওপ্র্যাক্টর টড সিনেট বলেন, শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যকর দেহের ভিত্তি হল সুস্থ পেছন দিক।
তবে জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে পিঠব্যথায় ভুগতে হয়। আর এজন্য বিভিন্ন কারণের মধ্যে একটি হল শোয়ার ভঙ্গি।
রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সিনেট আরও বলেন, ঘুমানোর সময় বেশি বালিশ ব্যবহার, চেয়ারে বা সোফায় ঘুমিয়ে পড়ার কারণে পিঠব্যথায় ভুগতে হয়। কারণ ঘুমানোর সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ভঙ্গি হল চিত হয়ে শোয়া।
কারণ এই অবস্থায় মেরুদণ্ড স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে, চাপ কম পড়ে। যদি পিঠের ব্যথার কারণে ঘুমের অসুবিধা হয়, সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করে তবে দিনে দেখা দেবে ক্লান্তি ও অস্বস্তি। দীর্ঘমেয়াদে এভাবে চললে হতে পারে হৃদরোগ; কমে যেতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
সিনেট বলেন, ঘুমের ভঙ্গিতে জাদুকরী কোনো বিষয় নেই। ব্যথায় ভুগলে শোয়ার ভঙ্গি পরিবর্তন করে দেখা উচিত।
এক্ষেত্রে চিত হয়ে বা এক দিক কাত হয়ে বা দুই ভঙ্গি সমন্বয় করে শোয়া উপকারী।
আর বালিশ ব্যবহারের মাধ্যমে পিঠ থেকে দেহের নিম্নাংশ পর্যন্ত সঠিক ভঙ্গিমা নিশ্চিত করা যায়। যেমন- কোলবালিশ ব্যবহার করলে পায়ের ভঙ্গি সঠিকভাবে থাকে। আর অযাচিত চাপ পড়ার হাত থেকে মুক্তি পায়।
মাথায় পাতলা বালিশ দিয়ে চিত হয়ে শুয়ে, হাঁটুর নিচে বালিশ দিয়ে পা একটু উঁচু করে ঘুমারে দেহের সার্বিক ভারসাম্য বজায় থাকে। ফলে মেরুদণ্ডের স্থায়িত্ব বাড়ে।
গবেষণা অনুযায়ী বইতে হেক্স উল্লেখ করেন, উপুর হয়ে শোয়া হল সব থেকে প্রতিকুল ভঙ্গি। এরফলে পিঠ ও শরীরের পেছন দিক কোনো অবলম্বন পায় না। তাই এটা এড়ানো উচিত।
তবে এভাবে যারা শুয়ে অভ্যস্ত হলে আর পিঠব্যথা না করলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। ঘুমের সময় হাঁটুর মাঝে বা নিচে বালিশ রাখলে উরু ও কোমরের নিচের অংশের ব্যথা উপশমে সাহায্য করে।
ঘাড় ও মাথার বালিশ বেশি উঁচু হওয়া যাবে না। এতে ব্যথার পরিমাণ বাড়বে। ম্যাট্রেস বা তোশক বেশি নরম আর বেশি শক্ত হওয়া যাবে না। পুরাতন তোশক, জাজিম, গদি বা ম্যাট্রেস পরিবর্তন করলে পিঠব্যথা উপশমে সাহায্য করে।