শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) জনপ্রশাসনের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। এতে আরও বলা হয়, দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী বর্ণিত অধিক্ষেত্রে অর্থাৎ সারাদেশে ও সময়কালে স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সারা দেশে ফৌজধারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২ ধারার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তারা কার্যক্রম চালাতে পারবেন।
সশস্ত্র বাহিনীকে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দেওয়া ক্ষমতা আরও দুই মাস (৬০ দিন) বাড়িয়েছে সরকার। সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এই ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব জেতী প্রু-এর সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশের কথা বলা হয়।
আদেশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং কোস্টগার্ডে প্রেষণে নিয়োজিত সমমর্যাদার কর্মকর্তাদেরও এর আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সারা দেশে মোতায়েন করা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দুই মাস বা ৬০ দিনের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। তিন দিন পর ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠণ করা হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়েই ১৯ জুলাই রাতে সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও কারফিউ জারি করেছিল আওয়ামীলীগ সরকার। তখন থেকেই আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বর প্রথম তাদের ৬০ দিনের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়। শনিবার (১৬ নভেম্বর) প্রথম দফায় দেওয়া সেই ৬০ দিন শেষ হচ্ছে। এরইমধ্যে এর মেয়াদ বাড়ালো সরকার।