1. [email protected] : Masumasian :
  2. [email protected] : Masum Talukdar : Masum Talukdar
বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:০২ অপরাহ্ন

‘মিয়া ভাই’ খ্যাত এই কিংবদন্তি শিল্পীর জন্মদিন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট এর সময় : সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫
  • ২৯ বার পঠিত হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক – বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক।(১৮ আগস্ট) ‘মিয়া ভাই’ খ্যাত এই কিংবদন্তি শিল্পীর জন্মদিন। ২০২৩ সালের ১৫ মে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান ফারুক। বেঁচে থাকলে আজ তার বয়স হতো ৭৭ বছর।

১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফারুক। তার বাবা ছিলেন আজগার হোসেন পাঠান। ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নায়ক হিসেবে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। একই বছর অংশ নেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। যুদ্ধ শেষে সিনেমায় ফিরে হয়ে ওঠেন সবার প্রিয় ‘মিয়া ভাই’। তার অভিনীত ‘মিয়া ভাই’ চলচ্চিত্র থেকেই এই নামটি স্থায়ীভাবে জুড়ে যায় তার সঙ্গে।

ফারুক ছিলেন ৭০ ও ৮০ দশকের সুপারস্টার। তার নায়িকা হয়েছেন কবরী, ববিতা, শাবানা, রোজিনা, সুচরিতা, অঞ্জু ঘোষসহ সময়ের শীর্ষ অভিনেত্রীরা। বিশেষ করে ফারুক-ববিতা জুটি ছিল দর্শকের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয়। তার অভিনীত ‘লাঠিয়াল’, ‘সারেং বৌ’, ‘সুজন সখী’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘আলোর মিছিল’, ‘নয়নমণি’, ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘সখী তুমি কার’, ‘কথা দিলাম’, ‘সূর্য গ্রহণ’ প্রভৃতি সিনেমা আজও দর্শক হৃদয়ে গেঁথে আছে। তিনি শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন, যার সিংহভাগই ছিল ব্যবসাসফল।

ফারুক অভিনয়ের জন্য ১৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে মনোনীত হলেও পুরস্কার পান কেবল একবার। তবে ২০১৬ সালে তাকে দেওয়া হয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননা। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। চলচ্চিত্রের বাইরে ঢাকা-১৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনেও অবদান রাখেন।

দু’বছর আগে চলে গেলেও প্রতিটি দিন সন্তানদের কাছে ফারুকের অনুপস্থিতি বিশাল শূন্যতা তৈরি হয়েছে। ছেলে রওশন হোসেন পাঠান শরৎ বলেন, “বাবা থাকা অবস্থায় জীবনটা ছিল চিন্তামুক্ত। এখন প্রতিটি কাজেই ভাবতে হয়, দ্বিধা করতে হয়। মানুষের জীবনে বাবার ভূমিকা বাবা না থাকলে সবচেয়ে বেশি টের পাওয়া যায়।”

ফারুক অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা ছিল মো. নাসির উদ্দিন ও আওলাদ হোসেনের ‘মনে রেখ আমায়’, যা মুক্তি পায় ২০০১ সালে। এরপর আর কোনো নতুন সিনেমায় তাকে দেখা যায়নি।

দয়া করে পোস্টটি আপনার স্যোসাল মিডিয়া শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2019 LatestNews
Theme Customized BY LatestNews