বিনোদন ডেস্ক : পপসংগীত তারকা শাকিরা আবারও সরব হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অভিবাসীদের পক্ষে। নিজেও একজন অভিবাসী হিসেবে অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীরা দিন কাটায় এক ধরনের নিরন্তর ভয়ের মধ্যে, যা অত্যন্ত কষ্টদায়ক।
কৈশরে কলম্বিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে এসে স্থায়ী হন শাকিরা। সেই থেকেই অভিবাসীদের বিষয়ে তার সহানুভূতিশীল মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে নানা সময়েই। চলতি বছরের গ্র্যামি পুরস্কারে মঞ্চে দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে নিজের পুরস্কার উৎসর্গ করেন তাদের। জানান, সব সময়ই তিনি অভিবাসীদের পাশে থাকবেন।
সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়া প্রতিবাদ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন হলিউডের অনেক তারকা, যার মধ্যে রয়েছেন নাতাশা রথওয়েল ও অলিভিয়া রদ্রিগো।
ভ্যারাইটি-কে দেওয়া এক বক্তব্যে ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির কড়া সমালোচনা করে শাকিরা বলেন, ‘এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আমাদের আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার। আমাদের আওয়াজ তুলতে হবে। কোনো দেশের অভিবাসন নীতি পরিবর্তন হতে পারে, কিন্তু মানুষের প্রতি সেই দেশের আচরণ মানবিক হওয়া উচিত—সব সময়ই।’
নিজের অভিজ্ঞতা থেকে শাকিরা জানান, ‘কলম্বিয়া থেকে আমি এসেছিলাম ভালো জীবনের আশায়। তখন তো গুগল বা চ্যাটজিপিটির মতো প্রযুক্তি ছিল না। একমাত্র ভরসা ছিল স্প্যানিশ টু ইংলিশ অভিধান। ইংরেজি শেখার তাগিদ ছিল, কারণ গান লেখার জন্য সেটা জরুরি ছিল।’
ইংরেজির সঙ্গে তার বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল কবিতা আর গানের লিরিক পড়ে। শাকিরা বলেন, ‘আমি কবিতা পড়তাম, লিরিক পড়তাম। কীভাবে ইংরেজিতে গান লেখা যায়, তা বোঝার চেষ্টা করতাম। এতে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা পেয়েছিলাম বব ডিলানের লেখা পড়ে।’
বর্তমানে শাকিরা রয়েছেন তার আন্তর্জাতিক কনসার্ট ট্যুরে, যার সূচনা হয়েছে ১১ ফেব্রুয়ারি ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো থেকে। ইতোমধ্যে তিনি পারফর্ম করেছেন বোস্টন, টরন্টো, মায়ামি, ডেট্রয়েট, হিউস্টন ও সান দিয়েগোর মতো শহরে। ট্যুরের উত্তর আমেরিকা পর্ব শেষ হবে ৩০ জুন, সান ফ্রান্সিসকোতে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে শাকিরার গাওয়া থিম সং ‘ওয়াকা ওয়াকা’ গোটা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। এখন সেই গায়িকাই কণ্ঠ তুলেছেন অভিবাসীদের অধিকার ও মর্যাদার পক্ষে।