বিনোদন ডেস্ক : পাকিস্তানি ড্রামায় অসামান্য অবদান ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রেস্টিজিয়াস অ্যাওয়ার্ড অব রিকগনিশন পুরস্কারে ভূষিত হলেন দেশটির কিংবদন্তি অভিনেত্রী বুশরা আনসারি।
ব্রিটিশ এশিয়ান সোসাইটি এবং সামারা ইভেন্টস ইউকে’র আয়োজনে তাকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্রিটিশ এমপি ইয়াসমিন কুরেশি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এমপি আফজাল খান, ব্রিটিশ এশিয়ান সোসাইটির চেয়ারম্যান এ হক, মারিয়া সোরায়া, আমাল হাফিজ। এছাড়া পাকিস্তানি কমিউনিটি অনেক নেতা, শিল্পী এবং অভিনেত্রীর ভক্তরা-অনুরাগীরাও উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমন সম্মাননা পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী বুশরা।
তিনি বলেন, এমন মর্যাদপূর্ণ জায়গা থেকে এ পুরস্কার লাভ করা আমার জন্য বিশাল সম্মানের।
বুশরা তার ভাষণে পাকিস্তানি নাটকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি জানান, এসব ড্রামাগুলো দেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, ঐতিহ্যবাহী পোশাক এবং উর্দু ভাষা প্রচোরে সহায়ক হয়েছে। পাকিস্তানি নাটকগুলো শুধু যুক্তরাজ্যে নয়, পুরা বিশ্বব্যাপী দেখা হয়।
অভিনেত্রী এই পুরস্কারটি তার সহকর্মী শিল্পী এবং কাহিনীকারদের উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন।
তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বললেন, বিশ্বব্যাপী পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রদর্শনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন তারা।
তিনি এই স্বীকৃতির জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে এমপি ইয়াসমিন কুরেশি অভিনেত্রী বুশরা আনসারির দীর্ঘ ক্যারিয়ারের প্রশংসা করেন এবং আন্তর্জাতিক স্তরে পাকিস্তানি সংস্কৃতি জনপ্রিয় করতে তার বিশাল প্রভাবকে উল্লেখ করেন।
ইয়াসমিন বলেন, বুশরা আনসারি শুধু বিনোদনই দেননি, তিনি সাংস্কৃতিক দূত হিসেবেও কাজ করেছেন। প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছেন এবং পাকিস্তানের সমৃদ্ধ শিল্প ঐতিহ্যকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করেছেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বুশরা আনসারির আইকনিক টেলিভিশন চরিত্রগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ চরিত্রগুলো তাকে পাকিস্তান এবং বিশ্বব্যাপী দর্শকদের মধ্যে জনপ্রিয় করেছে।
এর আগে পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খান ও অভিনেতা ফাহাদ মুফতাক এ সম্মাননায় ভূষিত হন।