ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ছাত্রদের চিকিৎসায় চীনা চিকিৎসকদল সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের (পরিকল্পনা অনুবিভাগ) অতিরিক্ত সচিব ড. শাহ মো. হেলাল উদ্দিন এসব কথা জানান।
ড. শাহ মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে চীনা মেডিকেল টিম অতি দ্রুত সময়ে ঢাকায় আসে। এই টিম ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসে এবং তারা ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে কাজ শুরু করে। গতকাল পর্যন্ত তারা পাঁচটি হাসপাতাল ভিজিট করেছে। এই সময়ের মধ্যে তারা ১৬০ জন রোগীকে ভিজিট করেছেন। ১০৫ জন রোগীর মেডিকেল রেকর্ডস পরীক্ষা করেছেন। এই টিম মূলত মেডিকেল অ্যাসেসমেন্ট টিম। এই অ্যাসেসমেন্ট টিম চায়না সরকার খুব দ্রুততম সময় বাংলাদেশে পাঠিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই ১০৫ জন রোগীর মধ্যে কয়েকজন রোগী খুবই মেডিকেল ইনজোর্ড। এই রোগীদের বিষয়ে তারা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তারা তাদের সিনিয়রদের সঙ্গে পরামর্শ করে দ্রুত একটি পূর্ণাঙ্গ অ্যাসেসমেন্ট আমাদের পাঠাবেন। মেডিকেল ইনজোর্ড রোগীর মধ্যে ২-৩ জন আইসিইউতে আছে। কিছু আছে নার্ভ ইনজুরি রোগী। একজন আছে চোখের রোগী।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বলেন, আমরা চেষ্টা করছি চাইনিজ এক্সপার্টদেরকে দেশে এনে অথবা যদি প্রয়োজন হয় এই সমস্ত রোগীকে আমরা দেশের বাইরে পাঠানোর চিন্তাভাবনা করছি। এই বিষয়ে আমাদের সিনিয়র সচিব এবং উপদেষ্টা মহোদয় খুবই আন্তরিক।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র জনতার জন্য আমাদের যে নিজস্ব চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে, তাদের চিকিৎসা আমরা ইন্টারন্যাশনাল প্রটোকল অনুযায়ী দিতে পারছি কিনা এটা তারা দেখেছে, যথাসময়ে আমরা চিকিৎসা শুরু করতে পেরেছি কিনা, এটা তারা দেখেছে। এই বিষয়ে তারা খুবই সন্তুষ্ট। আরেকটা জিনিস তারা দেখেছে, আমাদের হাসপাতালগুলোর ইকুইপমেন্ট বিষয় ক্যাপাসিটি লিমিটেশন আছে কিনা। এই জায়গায় আমাদের কিছু ঘাটতি আছে।
এই চিকিৎসাকে কেন্দ্র করে যে সহযোগিতা শুরু হলো সেটাকে আমাদের স্বাস্থ্য সেবায় আরও বড় পরিসরে নিয়ে যেতে চাই। এটার জন্য আমাদের কে তাদের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে হবে। আমাদের সিনিয়র সচিব মহোদয়ের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব দেওয়ার পর চাইনিজ রাষ্ট্রদূত এই বিষয়ে সম্মত হয়েছেন এবং আনুষ্ঠানিক একটা প্রস্তাবনা চেয়েছেন। আমরা খুব দ্রুতই এই আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবনা পাঠাবো।