অনলাইন ডেস্ক – রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে বিপাকে স্বাগতিক পাকিস্তান ক্রিকেট দল। সুবিধে জনক পজিশনে রয়েছে বাংলাদেশ। ১২ রানে এগিয়ে থেকে রোববার তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে স্কোর বোর্ডে ৯ রান জমা করতেই পাকিস্তান হারিয়েছে ২ উইকেট।
এখনও দুই দিনের খেলা বাকি আছে। আগামীকাল পাকিস্তানকে যদি কম রানে আটকে ফেলা যায় এবং টার্গেট তাড়া করে লক্ষ্যে পৌঁছা যায় তাহলে প্রথম টেস্টের মতো দ্বিতীয় টেস্টেও জয়ের সুযোগ থাকবে টাইগারদের। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়ের হাতছানি।
রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম ইনিংসে সায়েম আইয়ুব (৫৮) শান মাসুদ (৫৭) ও আগা সালমানের (৫৪) ফিফটিতে ভর করে ২৭৪ রান করে পাকিস্তান। বাংলাদেশ দলের হয়ে ৫ ও ৩টি করে উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদ।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে শনিবার শেষ বিকেলে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০ রান করা বাংলাদেশ আজ তৃতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপাকে পড়ে যায়। দিনের শুরুতেই মাত্র ১৬ রান স্কোর বোর্ডে যোগ করতে বাংলাদেশ হারায় প্রথম সারির ৬ ব্যাটসম্যানের উইকেট। ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে পঞ্চাশ রানেই গুঁড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল বাংলাদেশ।
সেই কঠিন পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরেন লিটন কুমার দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজ। সপ্তম উইকেটে তাড়া ১৬৫ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১৯১ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন মিরাজ। তিনি ৩০ রানের আগে অষ্টম উইকেটে ব্যাটিংয়ে নেমে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৭৮ এবং ইতিহাসের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে এমন পরিস্থিতিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ফিফটি হাঁকান।
আর লিটন কুমার দাস ক্রিকেট ইতিহাসের একমাত্র ব্যাটসম্যান, যিনি ৫০ বা তার আগে শীর্ষ পঞ্চম ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে এনিয়ে তিনটি সেঞ্চুরি হাঁকালেন।
রাওয়ালপিন্ডিতে চলতি টেস্টে ২৬ রানে ৫ উইকেট পতনের পর ব্যাটিংয়ে নেমে লিটন দাস ২২৮ বল মোকাবেলা করে ১৩টি চার আর ৪টি ছক্কার সাহায্যে করেন ১৩৮ রান। এটা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ আর সবমিলে নবম সেঞ্চুরি। তার সেঞ্চুরির সুবাদেই পাকিস্তানের করা ২৭৪ রানের জবাবে বাংলাদেশ ২৬২ রান করতে সক্ষম হয়।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে পাকিস্তানের লিড ২১ রান। তবে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে আছে। আগামীকাল সকালের সেশনে পাকিস্তান দলকে বাংলাদেশ দলের বোলাররা যদি কোণঠাসা করে দিতে পারেন, তাহলে এই টেস্টেও জয়ের সুযোগ তৈরি হবে।