নিউজ ডেস্ক : আওয়ামী লীগ শাসনামলে পরপর তিনটি সংসদ নির্বাচন ছিল ব্যাপক বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ। এসব নির্বাচন দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মহলেও নানা সমালোচনার মুখে পড়ে।
এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির যথাযথ তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় নির্বাচন তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে, যার জন্য ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনের সকল তথ্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে সংগ্রহের আবেদন করেছে কমিশন।
এই নির্বাচন নিয়ে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ ও প্রশ্নাবলি যাচাই-বাছাই করে ভবিষ্যতে দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু করার জন্য সংশ্লিষ্ট সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে কমিশন গঠন করা হয়েছে।
জাতীয় নির্বাচন তদন্ত কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদকে এই সংক্রান্ত একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ধরনের নথি, দলিল ও তথ্য দ্রুত সরবরাহের অনুরোধ করা হয়েছে।
সরকারি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ জুলাই মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ The Commissions of Inquiry Act, 1956 এর আওতায় এই কমিশন গঠন করে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কমিশনকে আগামী ৩১ অক্টোবর ২০২৫-এর মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন সরকারকে দাখিল করতে হবে।
তদন্ত কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় দলিলপত্র এবং তথ্যাদি দিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে :
জাতীয় নির্বাচন তদন্ত কমিশনের ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত হয়, তালিকাভুক্ত এসব তথ্য জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন থেকে সংগ্রহ এবং সরবরাহের ব্যবস্থা নেবে। এ লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে।
বিগত তিনটি নির্বাচনকে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অত্যন্ত বিতর্কিত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। দেশ-বিদেশে এসব নির্বাচনের ব্যাপক সমালোচনা ও প্রশ্ন উঠেছিল, যার ফলে নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে অনেক ধরনের বিতর্ক চলেছে।
জাতীয় নির্বাচন তদন্ত কমিশনের প্রধান দায়িত্ব থাকবে, এই বিতর্কিত নির্বাচনের সঠিক তদন্ত করে প্রতিবেদন তৈরি এবং নির্বাচন ব্যবস্থার উন্নতির জন্য প্রাসঙ্গিক সুপারিশ করা।
নির্বাচন কমিশন সূত্র বলছে, ‘এই তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে নির্বাচনের অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত দুর্নীতি, অনিয়ম, আইন প্রয়োগ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে এই তদন্তের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।’
এই তদন্ত প্রতিবেদন সামনে আসলে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় নতুন কোনো পরিবর্তন ও সংস্কার আসার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।